[ad_1]
গার্ডেনরিচ কান্ডের পর বেআইনি বাড়ি নির্মাণে রাশ টানতে একের পর এক পদক্ষেপ করে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এবার শুক্রবার লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বেআইনি বাড়ি তৈরির পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কীভাবে তা ভাঙা হবে, এই সবকিছু নিয়ে এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) তৈরি করল কলকাতা পুরসভা। মেয়রের সঙ্গে এই বৈঠকে লালাবাজারের উচ্চকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন নামকরা আইনজীবীও।
গার্ডেনরিচে বেআইনি বাড়ি ভেঙে পড়ার পর একের পক এক পদক্ষেপ করে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যে বরো ১৫-এর সব ইঞ্জিনিয়ারদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে কড়া আইনও আনা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং আইনকে যুক্ত করা হচ্ছে ফৌজদারি আইনের সঙ্গে। এ নিয়ে শুক্রবার একটি বৈঠক ডাকেন মেয়র।
বৈঠকের পদ ফিরহাদ হাকিম বলেন,’কর্পোরেশন আইন মেনে এই ধরনের নির্মাণের ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা আমরা নিতে পারি তা নিয়েই আজ মিটিং করলাম। কর্পোরেশন আরও কঠোর কোন পথে হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটা রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। কমিশনার নোটিফিকেশন খুব তাড়াতাড়ি বের করা হবে। বৈঠকে ল অফিসার, চিফ ল অফিসার, ডিজি বিল্ডিং ছিলেন, সিএমএলও ছিলেন, সিপি ছিলেন, হাইকোর্টের আইনজীবীরা ছিলেন।’
ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিবাদ
গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে পড়ার পর পুরসভার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে উদ্দেশ্য করে চোর ও অপদার্থ পর্যন্ত বলার অভিযোগ উঠেছে মেয়রের বিরুদ্ধে।
মেয়রের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে শুক্রবার প্রতিবাদ জানায় কেএমসি ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড অ্যালাউড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন । তারা পুরসভার মধ্যে মিছিলের ডাক দেয়। তাঁদের অভিযোগ, এক জন ইঞ্জিনিয়ারকে কিছু দিন আগে অবধিও ২১ ওয়ার্ড দেখতে হতো। তাঁরা দাবি করেন ওর্য়াডের সংখ্যা কমাতে। তাঁদের আরও দাবি, অবিলম্বে কর্মী নিয়োগ করতে হবে পুরসভায়।