দেশে করোনার একের ঢেউ সামলাতে বারবার জারি হচ্ছে বিধিনিষেধ, ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন এবং জীবিকা, মানসিক ভাবে চাপে থাকছেন কেউ কেউন এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে। সবাই চেষ্টা করে চলেছি, নিজেদের এবং পরিজনদের সুস্থতা এবং ইতিবাচক মানসিক শান্তির খোঁজে,
দুর্ভাগ্যবশত, বহু মানুষ এমন রয়েছেন যাঁরা এক দিনও মদ না ছুঁয়ে থাকতে পারেন না। নিজের শরীরের একাধিক ক্ষতি হওয়ার কথা জেনেও অ্যালকোহল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারেন না।
মাঝে মধ্যে এক-দু পেগ মদ খাওয়া নিয়ে অনেক চিকিৎসকই আপত্তি করেন না। কিন্তু যখন সেটি সীমা ছাড়ায় তখনই ডেকে আনে বিপদ। অতিরিক্ত মদ্যপান আপনার শরীরকে একেবারে শেষ করে ছেড়ে দেয়।
লিভার, সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম, হজমক্ষমতা, অগ্নাশয়, হাড় ও মাংসপেশি, ইমিউনিটি, প্রজনন ক্ষমতা সবেতেই মদ্যপানের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, একজন মধ্যবিত্ত মানুষ যাঁর মাসে স্বাভাবিক একটি রোজগার রয়েছে, তিনি বছরে ৯.৫ লিটার মদ খান।
কিন্তু জানেন কি, মদ থেকে দূরে থাকলে আপনার কী কী ভালো হতে পারে? স্বাস্থ্যই যখন সম্পদ, তখন একবারও এটা নিয়ে ভাববেন না?
এই লকডাউনে ২৮ দিনের একটি চ্যালেঞ্জ নিন… দেখুন শরীর কীভাবে আপনাকে সাড়া দিচ্ছে।
প্রথম সপ্তাহ: যাঁরা রাতে মদ্যপান করেন, তাঁদের অনেক খাবারের প্রয়োজন হয়। মদের সঙ্গে স্ন্যাক্সের পরে আবার অনেকেই পেট ভরে খাবারও খান। মদ না খেলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার খিদে কমবে। তবে আপনার মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। কিন্তু একটু ধৈর্য্য ধরলে তা এক মাসের মধ্যে কমে যাবে।
দ্বিতীয় সপ্তাহ: এক সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো হবে। ঘুম ভালো হবে, চেহারায় তার ছাপ পড়তে বাধ্য। চোখের নীচের কালি দূর হবেই। গন্ধ ও স্বাদগ্রহণের ক্ষমতা বাড়বে। মূত্র অনেক পরিষ্কার হবে। দাঁতের রং বদল হবে।
তৃতীয় সপ্তাহ: মানুষের লিভার তিন সপ্তাহের মধ্যে রিকভার করতে শুরু করে। চামড়ার রং পরিবর্তন হয়। হজমক্ষমতা বাড়ার জন্য চামড়া কুঁচকে যাওয়া বন্ধ হয়।
চতুর্থ সপ্তাহ: শেষ সপ্তাহে আপনার ওজন কমবে। কার্ডিওভাস্কুলার রোগ থাকলে তা কমতে শুরু করবে। উচ্চ রক্তচাপ কমবে। আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি করে ফিরে পাবেন। মাথা আরও বেশি সক্রিয় হবে ও কাজ করবে।
এবং সর্বোপরি, আপনার প্রচুর টাকা সঞ্চয় হবে।