Home আপডেট Lakshmir Bhandar: সরকারের খাতায় ‘মৃত’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না দাসপুরের ‘জলজ্যান্ত’ পূর্ণিমা

Lakshmir Bhandar: সরকারের খাতায় ‘মৃত’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না দাসপুরের ‘জলজ্যান্ত’ পূর্ণিমা

Lakshmir Bhandar: সরকারের খাতায় ‘মৃত’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না দাসপুরের ‘জলজ্যান্ত’ পূর্ণিমা

[ad_1]

তিনি জীবিত। তবে সরকারের খাতায় নাকি তিনি ‘মৃত’। আর এর জেরেই বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে দাসপুরের পূর্ণিমা বারিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। এই আবহে নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে প্রশাসনের এক দফতর থেকে আরের দফতরে ঘুরতে হচ্ছে ৩৫ বছর বয়সি গৃহবধূকে। জানা গিয়েছে, দাসপুর দুই নম্বর ব্লকের খেপুত দক্ষিণবাড় গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা। তাঁর অভিযোগ, জুন মাস থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। (আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে চাপ বাড়াল বিরোধীরা, অবশেষে সরকারি কর্মীদের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী)

আরও পড়ুন: স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়, বলল এলাহাবাদ হাই কোর্ট

রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই মেয়ের টিউশনির টাকা দেওয়ার জন্যে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন পূর্ণিমা। সেই সময় তিনি জানতে পারেন, গত জুন মাস থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢোকেনি। এর আগে মে মাসে শেষবারের মতো সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছিলেন পূর্ণিমা। তারপর থেকেই তাঁর অ্যাকাউন্টে আর টাকা ঢোকেনি। মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ১০০০ টাকা করে তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। এই আবহে টাকা না পাওয়ার কারণ খুঁজতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ব্লক অফিসে ঘুরেছেন তিনি। সেই সময়ই পূর্ণিমা জানতে পারেন, সরকারের খাতায় তিনি ‘মৃত’। আর তাই এখন নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে ফের প্রশাসনের বিভিন্ন অফিসে ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে।

আরও পড়ুন: লটারি জয়ের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যজনক মৃত্যু যুবকের, দেহ মিলল জলাশয়ে

এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও প্রবীর কুমার শিট সংবাদমাধ্যমকে জানান, পূর্ণিমা বারিকের থেকে এই সংক্রান্ত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে ইতিমধ্যেই খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মমতাজ বেগম পূর্ণিমাকে ‘জীবিত’ শংসাপত্র দিয়েছেন। সেই শংসাপত্র নিয়ে ঘাটাল মহকুমা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হলফনামা দিয়ে জানান, তিনি ‘জীবিত’। এবার সেই হলফনামা তিনি জমা দেবেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের কাছে। জেলাশাসক সেই পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করলে ফের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে শুরু করবেন পূর্ণিমা বারিক। তবে সাধারণ ঘরের একজন গৃহবধূকে কেন এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে? এই প্রশ্নের সদুত্তর নেই কারও কাছে। তবে দাসপুর দুই ব্লকের জেলা পরিষদ সদস্য সৌমিত্র সিংহরায় জানান, ফের যাতে পূর্ণিমার অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢোকে, তার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করবে প্রশাসন।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here