[ad_1]
শেষ পর্যন্ত জোট অধরাই থেকে গেল আইএসএফ-বামফ্রন্টে। বারবার আলোচনা করেও কোনও সমাধানসূত্রে আসা যায়নি। কারণটা কী? শুধু কি আইএসএফের চাহিদা মেটাতে গিয়ে হিসশিম বামেরা বাধ্য হল সঙ্গ ছাড়তে? না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
সূত্রের খবর, জোট আলোচনা যে পথে এগোচ্ছিল তাতে ১৪টি আসন চেয়েছিল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দকীর দল। কিন্তু গররাজি হয় সিপিএম। কারণ কংগ্রেসকে এবং বাম শরিকদের দিয়ে তাতে তাদের হাতে খুবই কম সংখ্যক আসন থাকত। এই নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে আইএসএফের সঙ্গে। দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে জোট শরিকদের সঙ্গেও। জানা যাচ্ছে, শুধু আসন সংখ্যা নয়, আইএসএফের সঙ্গে জোট করা নিয়ে নীতিগত প্রশ্ন তুলেছে বাম শরিকদল ফরোয়ার্ড ব্লক। সেই প্রশ্নে পিছেয়ে আসতে হয়েছে বিমান বসুদের।
আরও পড়ুন। ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠক, মান কি ভাঙল? ইঙ্গিত দিলেন না হুমায়ুন
বুধবার জোট নিয়ে বামফ্রন্টের শেষ বৈঠক ছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সেই বৈঠকে আইএসএফের সঙ্গে জোট করা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন ফরোর্য়াড ব্লক। তাদের মতে, আইএসএফ মৌলবাদী দল। তাদের সঙ্গে নেওয়া উচিত নয়। এতে বাম আদর্শ আঘাত লাগবে। কর্মীদের মনোবলে চিড় ধরবে। ভোটদের কাছেও ভুল বার্তা যাবে। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে নওশাদদের সঙ্গে জোটে যাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন। ১টি লোকসভা আসনে ২ দিন ভোট হবে! কোথায়? জানাল নির্বাচন কমিশন, হিংসার জন্যই?
জানা গিয়েছে, এই আপত্তি বুঝেই আইএফএসের সঙ্গে আর কথা বাড়াননি বিমান বসু। বামফ্রন্টে তরফে ১৬ জনের প্রার্থী তালিকা পেশ করা হয়েছে।
প্রশ্ন হল, এর আগেও বিধানসভা ভোটে আইএফএসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিল বামফ্রন্ট। তখন কেন মেনে নিয়েছিল ফরোয়ার্ড ব্লক? কেন তখন তারা আপত্তি করেনি। সেক্ষেত্রে ব্লকের বক্তব্য আগে সিপিএমকে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন নরেন চট্টোপাধ্যায়রা। কিন্তু তখন তা শোনা হয়নি। কিন্তু এবার তা রীতিমতো রেজিলিউশন করে পাশ করানো হয়েছে দলের উচ্চস্তরের বৈঠকে। তার পর তা জানানো হয়েছে বামফ্রন্টকে। তাই বিমান বসুরা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আর পডুন। ওড়িশায় বিজেপি-বিজেডি জোট কি পাকা হল? কী বলেছেন শাহ!