রোজকার দিনে জল খাবার জন্য স্টিলের গ্লাস অথবা কাঁচের গ্লাসের ব্যবহার আমাদের নিত্যদিনের জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার্য। কিন্তু আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন তামার তৈরি পাত্র বা গ্লাসে জল খাওয়ার সময় ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই কাঁচের বা স্টিলের গ্লাস কি দোষ করল? এগুলো ব্যবহার করলেই হয়। এরজন্য আবার তামার কেন? তাহলে জেনে নিন তামার গ্লাস বা পাত্র ব্যবহার করার আসল কারণগুলি। আয়ুর্বেদে শাস্ত্র মতে তামার পাত্রে জল খেলে মানুষের শরীরে বাত, সর্দি বৃদ্ধি করতে দায় না। শরীরের সামঞ্জস্য বজায় রাখে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, রাত্রিবেলায় তামার জগ বা গ্লাসে জল ঢেকে রেখে দিন। সকালবেলায় খালি পেটে সেই জল খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
১. পেটের রোগের সমস্যা সমাধান হয় সহজেই। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্লের সমস্যা আছে, অবশ্যই তাদের তামার পাত্রে রাখা জল পান করা উচিত। হজমেও সমস্যাও সমাধানে সাহায্য করে।
২. নিয়মিত তামার পাত্রে জল পান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায়। ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও এই জলের জুড়ি মেলা ভার। তামার পাত্রে রাখা জলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের টক্সিন বের করে দেয় এই তামার পাত্রে রাখা জল।
৩. বিশেষজ্ঞদের মতে ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে এই তামার পাত্রে রাখা জল। বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী এই জলের মধ্যে রয়েছে anti-cancer উপাদান।৪. তামা মানুষের শরীরে কপার অভাবকে পূর্ণ করে। এর জন্য শরীরে রক্তের ঘটতি হয় না।
৫. থাইরয়েডের সমস্যা রোধ করতে তামা খুবই উপকারী একটি উপাদান। থাইরয়েড কি ব্যালেন্স করতেই তামা সাহায্য করে। তাই থাইরয়েডের রোগীরা প্রতিদিন তামার পাত্রে রাখা জল পান করুন।
৬. তামার পাত্রে রাখা জলে ডায়রিয়া, জন্ডিস এবং অন্যান্য রোগের ব্যাকটেরিয়া থাকলে ধ্বংস করে।
৭. যারা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন তামার পাত্রে জল খান।
৮. হজমে সাহায্য করতে তামার পাত্রে রাখা জলের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আগের দিন তামার পাত্রে জল রেখে দিন। পরের দিন সেই জল পান করুন। যারা বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি অসাধারণ একটি উপাদান।
৯. এমনকি রোগা হতে সাহায্য করে তামার পাত্রে রাখা জল। শরীরের ওজন কমাতে তামার পাত্রে জল নিয়মিত খান। এই জল মানব শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।
১০. রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে, শরীর সুস্থ রাখতে রাখে।