[ad_1]
মালদার হবিবপুর থানা এলাকার ঘটনা। স্থানীয় চকশুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এক মহিলা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তিনি স্কুলে আসছিলেন। সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁর সামনে জুতো এনে বলেন, পরিয়ে দাও। এদিকে ওই ব্য়ক্তির এই নির্দেশ শুনে হতবাক হয়ে যান তিনি। এরপর তিনি জুতো পরিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। এরপর ওই শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী মারের চোটে তাঁর হাত ভেঙে যায়।
শিক্ষিকার চিৎকার শুনে চারপাশ থেকে লোকজন জুটে যায়। স্কুলের মিডডে মিলের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তাঁরাই কোনওরকমে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রথমে আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু ওই যুবক আচমকা শিক্ষিকাকে জুতো পরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন?
সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ব্যক্তি শিক্ষিকাকে নানা সময় জ্বালাতন করতেন। এনিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন বলে খবর। ২০১৮ সালে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল শিক্ষিকার তরফে। সেই সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল। এরপর তিনমাস জেল হয় তার। ফের সত্যজিৎ রায় নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উঠল শিক্ষিকাকে হেনস্থা করার অভিযোগ। পুলি
শিক্ষিকার বাবা মৃদুল কুন্ডু বলেন, আমার মেয়ে স্কুলে আসছিল। সেই সময় সত্যজিৎ নামে ওই যুবক এসে বলে আমার জুতো পরিয়ে দেয়। সেই নির্দেশ না মানার পরেই তাকে মারধর করা হয়েছে। আমার মেয়ের হাতের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আমরা চাইছি ওই ব্যক্তির শাস্তি হোক। এভাবে যেন সে কাউকে না মারধর করে।