[ad_1]
স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করে খালে ফেলে থানায় গিয়ে মিসিং ডায়েরি করলেন স্বামী। কিন্তু পুলিশি জেরার চাপে অভিযুক্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করতেই ফাঁস হয়ে গেল গোটা ঘটনা। স্বামীর দেখানো জায়গায় খাল থেকে নিহত মহিলার দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থানা এলাকার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে নুরউদ্দিন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি থানায় এসে স্ত্রী সায়রা বানু নিখোঁজ বলে জানান। সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন তদন্তকারীরা। সায়রা বানুর খোঁজ পেতে নুরউদ্দিনকেই জেরা শুরু করেন তাঁরা। নুরউদ্দিনের বক্তব্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করলেও নিখোঁজ মহিলার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওদিকে লাগাতার পুলিশি জেরার মুখে সোমবার বিষ খান নুরউদ্দিন। তাঁকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশকর্মীরা সেখানে পৌঁছলে নুরউদ্দিনকে চিনতে দেরি হয়নি। তাঁকে উদ্ধার করে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁরা। পথে নুরউদ্দিন স্বীকার করে, সে নিজেই স্ত্রীকে খুন করে স্থানীয় রোহান্ডার খালে ফেলে দিয়েছে।
নুরউদ্দিনের স্বীকারোক্তি অনুসারে তার বাড়ির পাশে রাতেই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তল্লাশিতে সায়রা বানুর একাধিক দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। বাকি দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে। ওদিকে অভিযুক্ত বর্তমানে বারাসত হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তাকে নজরবন্দি করে রেখেছেন পুলিশকর্মীরা। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় নিহতের মেয়েকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন।