Home আপডেট Murshidabad: শাওনীকে সরিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দেওয়ার চেষ্টা, অধীরকে ধরাশায়ী করতে পারবে TMC?

Murshidabad: শাওনীকে সরিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দেওয়ার চেষ্টা, অধীরকে ধরাশায়ী করতে পারবে TMC?

Murshidabad: শাওনীকে সরিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দেওয়ার চেষ্টা, অধীরকে ধরাশায়ী করতে পারবে TMC?

[ad_1]

লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলে জেলা সভানেত্রীর পদ হারিয়েছেন সায়নী সিংহরায়। খাতায় কলমে পদোন্নতি দিয়ে তাঁকে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য করেছে শাসকদল। কিন্তু তাতে কি থামবে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল। অধীরকে হারিয়ে কি মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসশূন্য করতে পারবে তৃণমূল? দলের অন্দরেই উঠে আসছে নানা তত্ত্ব।

অধীরের মুর্শিদাবাদ বরাবরই তৃণমূলের জন্য কঠিন ঠাঁই। ২০১৯ সালের ভোটের আগে শুভেন্দুকে দিয়ে কংগ্রেস ভাঙিয়ে পায়ের তলার মাটি কিছুটা শক্ত করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কংগ্রেস ভাঙলেও তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি কতটা শক্ত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে বরাবর। কারণ দলের গোষ্ঠীকোন্দল। দলের অন্দরের ক্যাচাল থামাতে জেলাকে ২টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বহরমপুর – মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয় মুর্শিদাবাদ জেলাকে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। বহরমপুরের জেলা সভাপতি করা হয় শাওনী সিংহরায়কে। চেয়ারম্যান হন সাংসদ আবু তাহের। মাস কয়েক গড়াতে না গড়তেই দুপক্ষের বিবাদ বেঁধে যায়। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহের। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। একে একে শাওনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন জেলার ৫ বিধায়ক। যা চরম রূপ নেয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।

শাওনীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করে দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দেন বিধায়ক হুমায়ুন কবির। এমনকী অধীর চৌধুরীর প্রশংসাও শোনা যায় তাঁর মুখে। হুমায়ুনের অভিযোগ ছিল, তাঁর পাঠানো তালিকা অনুসারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের প্রার্থীতালিকা তৈরি হয়নি। কোন্দল চরমে পৌঁছলেও ভোটের ফলে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ ভোটটাই হয়নি।

সপ্তাহখানেক আগে বহরমপুরে বিজয় সম্মিলনীর অয়োজন করেছিলেন জেলা সভানেত্রী সায়নী। সেখানেও দেখা যায়নি জেলার বেশ কয়েকজন বিধায়ককে। তার পরই তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত দলের কোন্দলে ইতি টানায় কালীঘাটের শেষ চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অপূর্ব সরকার। সায়নীকে রাজ্য সম্পাদক করেছে তৃণমূল।

শাওনীকে সরানোয় হুমায়ুন কবির বলেন, ‘লঙ্কা থেকে রাবনের বিদায় হল। দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করি লোকসভা ভোটে দলের ফল ভালো হবে।’ পালটা সায়নী বলেন, ‘আমাকে দল আরও বড় দায়িত্ব দিয়েছে। আমি খুশি।’

ওদিকে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পদ থেকে আবু তাহেরকে সরিয়ে দিয়েছে দল। চেয়ারম্যান করা হয়েছে রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here