[ad_1]
নারদ মামলায় আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৩ হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এদিন আদালতে হাজিরা দেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেন, ৬ বছর ধরে এই মামলায় চক্রান্তের শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে, এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি নিয়েও সরব হন ৩ নেতা মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অপরূপার বিরুদ্ধে নারদ মামলায় পদক্ষেপ, সিবিআইকে চার মাস সময় কলকাতা হাইকোর্টের
এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ নারদ মামলায় নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দেন ৩ নেতা মন্ত্রী। যদিও এই মামলা নিয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তবে ধর্মতলায় কেন্দ্রটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভার পরের দিনই বাপ্পাদিত্যের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অমিত শাহ কলকাতায় এসে হয়ত নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই বিজেপি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে লাফাবে । তবে তাতে কিছু এসে যায় না। বাংলায় বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই।’
অন্যদিকে, শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আগে কোথাও সিবিআই তল্লাশি করলে সে বিষয়ে মানুষের একটা আলাদা কৌতুহল থাকত। কিন্তু, এখন মানুষ জানে কোনও নেতার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি মানেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।’ তিনি বলেন, ’আমারা রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছি। ৬ বছর ধরে আমরা কোর্টে আসছি। কিন্তু আরও অনেক রাজনৈতিক নেতা অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? রাজনৈতিক সুযোগ নেওয়ার জন্য এইভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করা দুর্ভাগ্যজনক।’
এদিকে, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র নারদা মামলা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে বাপ্পাদিত্যের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে বলেন, ‘গতকাল অমিত শাহ এসেছিলেন আর আজকে বাপ্পাদিত্যর বাড়িতে সিবিআই হানা।’ ২০১৪ সালে নারদ কাণ্ডের স্টিং অপারেশন করেছিলেন ম্যাথিউস স্যামুয়েল। সেখানের ভিডিয়ো–তে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা– নেত্রীর টাকা নেওয়ার ছবি ফুটে ওঠে। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নারদ মামলায় অনেকের নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রয়াত হয়েছেন। আবার কেউ অন্য দলে চলে গিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও নাম রয়েছে। এছাড়া, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ প্রয়াত হয়েছেন। ২০২১ সালে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।