[ad_1]
Narendra Modi Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার থেকে চরম কিছু চাইতে পারে দিল্লি জল্পনা বাড়ছে কূটনৈতিক মহলে। মোদী-হাসিনার ব্যাক টু ব্যাক বৈঠকের পরিণতি কী? চীন যা ভেবে ভয় পাচ্ছে ভারতের দাবি কী সেটাই হবে? আওয়ামি লিগ সরকারকে রিভিউ করে নিতে হচ্ছে স্ট্র্যাটেজি। ভারত বাংলাদেশের জন্য যতটা ডেয়ারিং বাংলাদেশ কী পারবে তার পাল্টা সাহসীকতা দেখাতে? বা এমন বন্ধুত্বের প্রতিদান দিতে? রাজনৈতিক স্তরে নয় কূটনৈতিক স্তরে দিতে হবে পরীক্ষা। ঢাকার নির্বাচনের জন্য ভারত তাদের পরম বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রকে বারবার কাউন্টার করছে। হয়ত এর পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করলে ভারত আরও কড়া স্টেপও নিতে পারে।
নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷ কবে হবে? তার ফলাফল আখেরে কি দাঁড়াবে জানতে চান তো? আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ ইভেন্টে যোগ দেওয়ার জন্য সেপ্টেম্বরেই ভারত আসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে জোহাসনবার্গে ব্রিকসে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত হবে হাসিনার। সেখানেও ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠক করতে পারেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী। এমনই সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। চীনের ব্লাডপ্রেসার এসব খবরে এতটা বাড়ছে কেন জানেন? টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন বলছেন ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে এবার চাইছে পারে দুটো এমন জিনিস যা ঢাকা কতটা দিতেপারবে বা পারলেও কোন পথে দেবে তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি-২০ ইভেন্টে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় ভারত তাকে দু’টি স্পষ্ট বার্তা দিতে পারে। যার প্রথম বার্তাটি হচ্ছে- বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগকে তার সকল চীনপন্থি ও ইসলামপন্থি নেতাকে ঝেড়ে ফেলতে হবে এবং নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের বেছে নিতে হবে। ভারত কী আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিচ্ছে? টেলিগ্রাফের রিপোর্ট বলছে শেখ হাসিনার জন্য জোড়া এই বার্তার কথা ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার সিকিউরিটি এস্টাবলিশমেন্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দুই দেশের ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা হয়েছে।
খবরটা শুনে অবাক লাগলেও দাবি করা হচ্ছে এমনটাই। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যদিও বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে শেখ হাসিনা দাবি করে আসছেন। তারপরও ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের শেষ দু’টি জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানদণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো সন্দেহ পোষণ করেছিল ভারত কিন্তু এত অভিযোগ সত্ত্বেও কোনোদিন কোনও প্রশ্ন করেনি বাংলাদেশ সরকারকে। এক্ষেত্রে টেলিগ্রাফের দাবি বাংলাদেশের নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে তা নিয়ে ভারত ততক্ষণ চিন্তা করবে না যতক্ষণ ফলাফল হাসিনার পক্ষে থাকে। কারণ হাসিনা ক্ষমতায় থাকুক এমনটা যে দিল্লি চায় সেটা বোঝাই গিয়েছে বিভিন্ন ইঙ্গিতে। এবার বাংলাদেশ সরকারের বোধহয় একটু সমঝে চলার পালাভারত যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক করে তাদের স্ট্র্যাটেজি বুঝেই বাংলাদেশের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লিগ সরকারের তাই দায়িত্ব ভারতকে সেজায়গায় সন্তুষ্ট রাখা নিজের কাজ দিয়ে। এবার দেখার মোদী-হাসিনা জোহানসবার্গে মুখোমুখি হলে সেখান থেকে কি নিউজ উঠে আসছে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়