Home আপডেট হিমবাহ ধসে তছনছ উত্তরাখণ্ড, নিখোঁজ ১৫০ বেশি……

হিমবাহ ধসে তছনছ উত্তরাখণ্ড, নিখোঁজ ১৫০ বেশি……

হিমবাহ ধসে তছনছ উত্তরাখণ্ড, নিখোঁজ ১৫০ বেশি……

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় রবিবার সকালে হিমবাহ ভেঙে ভয়াবহ তুষারপাতের ঘটনায় ১০০-১৫০ মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে জানালেন মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ।এ দিন সকালে জোশীমঠের কাছে তুষারধসের জেরে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর প্রবল ভাবে বেড়ে গিয়েছে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে সংলগ্ন ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। উত্তরাখণ্ড প্রশাসন আশঙ্কা করছে ইতিমধ্যেই ১০০ -১৫০ জনের মৃত্যু হতে পারে।এই ভয়াবহ তুষারধসের জেরে আটকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন অনেকেই। রাজ্য পুলিশ, এনডিআরএফ, আইপিটিপির পাশাপাশি উদ্ধারে নেমেছে সেনা। এখনও পর্যন্ত চারশো সেনা নামানো হয়েছে।চামোলি জেলার তপোবন অঞ্চলের রেইনি গ্রাম থেকে এখনও পর্যন্ত তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই শ্রমিক। একই সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে জানান, ইতিমধ্যেই ১০০-১৫০ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কিছু মানুষের আটকে থাকার দু:শ্চিন্তাও রয়েছে। ফলে পরবর্তীতে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।এসডিআরএফের ডিআইজি রিধিম আগরওয়াল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত দেড় শতাধিক শ্রমিক নিখোঁজ। বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রতিনিধিরা আমাকে বলেছেন যে তাঁরা নিজেদের প্রায় ১৫০ জন কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না”।উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন, তপোবন বাঁধে আটকে পড়েন ১৬ জন। তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এ দিন অসমে বিধানসভা ভোটের প্রচারে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানান, “ভারত সরকার উত্তরাখণ্ড সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং দেশ বিপন্নদের জন্য প্রার্থনা করছে। আমি উদ্ধারকাজের প্রতিটা মুহূর্তের খবরাখবর রাখছি”।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, “বিপর্যয় বাহিনীর আরও কয়েকটি দলকে দিল্লি থেকে বিমানে করে ঘটনাস্থলের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে “।আটকে পড়াদের সহযোগিতার জন্য টোল ফ্রি নম্বর খোলা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, অযথা গুজবে আতঙ্কিত না হয়ে কোনো দুর্গত ব্যক্তি ১০৭০ এবং ৯৫৫৭৪৪৪৪৮৬ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতে পারেন। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড পুলিশ বন্যার সতর্কতা জারি করে বলেছে, শ্রীনগর, হরিদ্বার এবং ঋষিকেশে জলের স্তর আরও বাড়তে পারে।পুলিশ জানিয়েছে, “শ্রীনগরের জলের স্তর বাড়তে পারে ৫৩৬.০০ মিটার, ঋষিকেশে জলের স্তর রাত ৮টা নাগাদ ৩৪০.৫০ মিটারে উঠতে পারে এবং রাত ৯টা নাগাদ হরিদ্বারের জল স্তর ২৯৪.০০ মিটারে পৌঁছতে পারে। এই তিনটি জায়গাতেই বিপদসীমার উপরে উঠে যাবে জলস্তর”।