করোনামুক্ত হয়েও স্বস্তি নেই।খুবই সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। শনিবার দুপুর থেকেই অচেতন অবস্থায় তিনি। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কিডনি, হার্টের কার্যক্ষমতা একেবারেই কমে গেছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা তাঁর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এই মুহূর্তে তাঁকে রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়েও যে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় সে কথাও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। একেই বার্ধক্যের ভারে ন্যুব্জ তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার সন্ধেয় কোভিড পরবর্তী সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। গত আগস্টে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। তখন প্লাজমা থেরাপি করা হয় স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায়। কিন্তু কোভিড নেগেটিভ হওয়ার পরেও শরীর ভাল নেই তাঁর।গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গগৈয়ের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ শর্মা জানিয়েছেন, গগৈকে ইনটিউবেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্কট কাটেনি। নভেম্বর মাসের ২ তারিখ থেকে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁকে।আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা শনিবার তরুণ গগৈকে হাসপাতালে দেখতে যান। তিনি বলেন, “শনিবার সন্ধে থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তাঁর মাল্টি-অর্গ্যান ফেলিওর হয়েছে। অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছেন বলে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তিনি কাউকেই চিনতে পারছেন না।” তিনি আরও জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা গগৈকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন সবসময়।গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা দিল্লির এইমসের বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তবে তরুণ গগৈ সেই অবস্থায় নেই যে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যাবে। এইমসের মডিউল অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে তরুণ গগৈয়ের।