ফের বেফাঁস আর হাস্যকর মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব । তাঁর দাবি, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাতেও না কি বিজেপির সরকার তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।বিজেপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে এমন কথা বলে ফললেন তিনি, যাতে রাতারাতি ফের একবার তাঁকে নিয়ে শুরু হল জোর আলোচনা৷ দেশ ছাড়িয়ে আন্তার্জাতিক স্তরে পৌঁছে যাবে তাঁর দল, দাবি করছেন বিপ্লব দেব৷ এ যেন অকপট স্বীকারোক্তি। আর তা থেকে জন্ম নিল নয়া বিতর্কের। তাঁর দাবি, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাতেও না কি বিজেপির সরকার তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
https://www.facebook.com/watch/?v=4013606478673324
ভিডিও সৌজন্য Tripurainfoway Facebook Page……..
এই খবর ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। সেখানে অবশ্য হাসির রোল উঠেছে। শনিবার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিপ্লব বলেন, ‘শুধু ভারতেই নয়, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালেও সরকার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে অমিত শাহের। এই পরিকল্পনার কথা খোদ অমিতই তাঁকে জানিয়েছিলেন।’ বিপ্লবের এই মন্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। রবিবার বিপ্লব বলেন, ‘অমিত শাহ ত্রিপুরা সফরে এসে নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় বিজেপি সরকার তৈরির বিষয়ে আলোচনা করে গিয়েছেন। ভারতে সর্বাধিক রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরেই এই পদক্ষেপ করা হবে।’ এই কথা যখন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে সবাই শুনলেন তখন একে অপরের দিকে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। আসলে কেউ বুঝতে পারছিলেন না শ্রীলঙ্কা–নেপাল ভারতের মধ্যে কবে থেকে এল? বিপ্লবের কথায়, “কমিউনিস্টদের দাবি তারা বিশ্বজোড়া রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট পার্টির সরকার চলছে। কিন্তু এখন বিজেপি বিশ্বের বৃহত্তম দল। আগরতলায় এসে অমিত শাহ বলে গিয়েছেন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।” বিপ্লবের মন্তব্যের পরেই বিভিন্ন মহলে হাসির রোল উঠেছে। বেফাঁস মন্তব্য করতে বিপ্লবের বেশ খ্যাতি আছে। সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন এটি। এ দিকে নিজের রাজ্যে নিজের দলেরই একটা অংশের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে বিপ্লবকে ঘিরে। বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। এই ‘বিদ্রোহীরা’ বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়ক নেতারা দিল্লি গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে ক্ষোভ উগরে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দ্রুত বদলের আর্জি জানানো হয়। এর জেরে রাজ্য বিজেপির দুই শিবির স্পষ্ট।