Home আপডেট ফের বেসামাল মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ~ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রতিবাদের ঝড় , উত্তাল সংসদ……

ফের বেসামাল মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ~ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রতিবাদের ঝড় , উত্তাল সংসদ……

ফের বেসামাল মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ~ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রতিবাদের ঝড় , উত্তাল সংসদ……

ফের চর্চার কেন্দ্রস্থল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মন্তব্যে উত্তাল হল সংসদ।  সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে লোকসভায় বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিলেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি বলেছেন, ‌‘‌রাম মন্দিরের রায় এবং সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করাটা একটি গুরুতর বিষয় এবং আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি।’সংসদীয় বিধির ১২১ নম্বর ধারা অনুসারে যে কোনও সদস্যকে বিতর্কে অংশগ্রহণের সময় সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের সম্মানরক্ষার বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়। কিন্তু সোমবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপক বক্তব্য রাখতে নাম না করে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ও বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছেন মহুয়া।মহুয়া এদিন বলেন, “পবিত্র ভারতীয় বিচারব্যবস্থা এখন আর সম্মানীয় নয়। এটা সেদিন থেকে অপবিত্র হয়ে গেছে যবে থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত হয়ে নিজেই নিজের ট্রায়াল করছেন, নিজেকে দোষমুক্ত ঘোষণা করেন, তারপর অবসরের তিন মাসের মধ্যে রাজ্যসভায় মনোনয়ন নিশ্চিত করে জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিকে রক্ষা করার কাজ থেকে সরে আসায় বিচারব্যবস্থা এখন আর পবিত্র নেই।” তাঁর এই মন্তব্যের ফলে  সংসদীয় বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার লোকসভায় ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য কার্যবিবরণী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে। পরে স্পিকার সংসদের রেকর্ড থেকে এই উদ্ধৃতিকে মুছে দেয়। তবে তারপরেও মহুয়ার বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের অভিযোগ আনতে চলেছে শাসক দল। তবে পাল্টা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় মহুয়ার সমর্থনে সংসদে বলেন, তিনি কারও নাম নেননি এবং অবসর গ্রহণের পর কোনও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বলা যায় না। তবে লোকসভার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রেমাচন্দ্রণ এদিন মহুয়াকে তাঁর বক্তব্য শেষ করার অনুমতি দিলেও, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির প্রসঙ্গে না টানার নির্দেশ দেন।