Home আপডেট দেশের ৮টা রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত মাত্র ৩৬৭ জন

দেশের ৮টা রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত মাত্র ৩৬৭ জন

দেশের ৮টা রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা  আক্রান্ত মাত্র ৩৬৭ জন

একটা সময় এক একটা রাজ্যেই দিনে আক্রান্ত হচ্ছিলেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। কোথাও কোথাও সেটা ৩০ হাজারেও চলে গিয়েছিল। দিল্লি-সহ এমনই ৮টা রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৩৬৭ জন

হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি। দেশে যখন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আতংক তৈরি করা হচ্ছে, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকা মানুষের মনকে আবার খারাপ করে দেওয়া হচ্ছে, তখনই অনেক বড়ো বড়ো রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে।

উত্তর এবং মহারাষ্ট্র ছাড়া পশ্চিম ভারতে এখন দুদ্দাড় গতিতে নামছে সংক্রমণ। দক্ষিণ ভারতে সংক্রমণ এখনও বেশি থাকলেও উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের সংক্রমণচিত্রটা ভীষণই স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি-সহ এই ৮ রাজ্যের সংক্রমণ কী রকম ছিল দেখে নিন:-

১) উত্তরপ্রদেশ – ৯৬

দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ- ৩৭ হাজার ৯৪৪ (২৪ এপ্রিল)

২) বিহার– ৭২

দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ- ১৫ হাজার ৮৫৩ (৩০ এপ্রিল)

৩) দিল্লি – ৪৫

দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ- ২৮ হাজার ৩৯৫ (২০ এপ্রিল)

৪) ঝাড়খণ্ড– ৪৩

দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ- ৮ হাজার ৭৫ জন (২৮ এপ্রিল)

৫) রাজস্থান – ৩৩

দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ- ১৮ হাজার ২৯৮ (২ মে)

৬) গুজরাত ৩২

দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ- ১৪ হাজার ৬০৫ (৩০ এপ্রিল)

৭) হরিয়ানা ২৮

দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ- ১৫ হাজার ৭৮৬ (৪ মে)

৮) মধ্যপ্রদেশ ১৮

দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ- ১৩ হাজার ৬০১ (২৫ এপ্রিল)

উল্লেখ্য, ভারতে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা থাকলেও কয়েক জন বিশিষ্ট ভাইরাসবিদদের দাবি তেমন আশঙ্কা এখনই নেই। কারণ তাঁদের মতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে দেশের অধিকাংশ মানুষই সংক্রমিত হয়ে গিয়েছেন। এর ফলে বেশির ভাগ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই বাজারে  ভিড় হলেও সংক্রমণ ক্রমশ কমছে।

তবে টিকাকরণ না হলে এই অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব ৫-৬ মাস। সে কারণে বছরের শেষে তৃতীয় ঢেউ আসতেও পারে বলে দাবি এই চিকিৎসকদের। কিন্তু সেটা এখনই আসবে না বলেই দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছেন তাঁরা।