[ad_1]
Pakistan woman to marry Kolkata resident: পাকিস্তানের মেয়ে শুধু প্রেমের টানেই ভারতে? মাত্র একবার দেখেই এত বড় সিদ্ধান্ত ভারতীয় যুবকের?
জাভেরিয়া খানুম এখন ভাইরাল কিন্তু এনার আসল কাহিনী জানেন? কী দেখে কলকাতার সমীর খানকেই বিয়ে? কতদিনের পরিচয়? আটারি- ওয়াঘা বর্ডার দিয়ে খানুম পা রাখতেই যা ঘটে গেল! নিশ্চয় আপনার জানতে বাকী নেই প্রেমের টানে হবু বধূ পাকিস্তানেক করাচি থেকে সোজা কলকাতায়। তাই পার্ক সার্কাসের খান পরিবারে এখন সাজো সাজো রব, কিন্তু সত্যিই কি শুধু প্রেমের টান?
বিতর্ক বা গুঞ্জন কিন্তু আটকানো যাবে না। পাকিস্তান থেকে কয়েকদিন আগেই ভারতে ফিরেছেন অঞ্জু। অনেকেই সেক্ষেত্রে বলেছেন ISI গুপ্তচর করে তাকে পাঠিয়েছে ভারতে। এরপর জাভেরিয়া খানুমের ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ উঠছে না প্রকাশ্যে। কে এই পাক সুন্দরী জাভেরিয়া খানুম? পাকিস্তানের একজন সাধারণ নাগরিক নাকি এর হাত অনেক দূর?
জানা যাচ্ছে গত পাঁচ বছর ধরে চলছে কলকাতার শামীর খান-জাভেরিয়ার প্রেমপর্ব। শামীরের পরিবারের অনেকেই পাকিস্তানে আছেন। মায়ের ফোনে তিনি প্রথম জাভেরিয়ার ছবি দেখেন। তখনই ঠিক করেন বিয়ে করলে এই পাকিস্তানি তরুণীকেই করবেন। জার্মানিতে দীর্ঘ দিন পড়াশোনা করেছেন শামীর। বছর দুয়েক আগে দুবাইয়ে তিনি দেখা করেন জাভেরিয়ার সঙ্গে। আর সেটাই তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। মাত্র ২১ বছর বয়স জাভেরিয়ার। এ ছাড়া পাঁচ বছরের প্রেমপর্বে মুখোমুখি দেখা আর হয়নি। যোগাযোগের মাধ্যম বলতে ছিল ফোনে কথা, ভিডিও কল এবং সোশ্যাল মিডিয়া৷ জাভেরিয়া যখন ভারতে ঢুকলেন তখন সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। ভারত কী একেবারে অনুমতি দিয়ে দিল পাকিস্থানের জাভেরিয়াকে দেশে ঢোকার?
আটারি- ওয়াঘা বর্ডার দিয়ে ভারতে পা রাখতেই পাঞ্জাবি ঢোলের তালে ভাংরা নাচে মেতে ওঠে দুটি মুসলমান পরিবার। আটারি- ওয়াঘা বর্ডারে হবু স্ত্রীকে পাকিস্তান থেকে সোজা কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য স্বয়ং উপস্থিত হলেন কলকাতার পাত্র সমীর খানও। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা আহমেদ কামাল খান। জাভেরিয়ার কথায় ভারতে এসে তিনি খুব খুশি। এখানে এসেই প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। জাভেরিয়া জানান আসন্ন জানুয়ারি মাসে তারা বিয়ে করতে চলেছেন। জাভেরিয়াকে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসার জন্য ৪৫ দিনের ভিসা দিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। এর আগে গত ৫ বছর ধরে বিয়ে করার তোড়জোড় করছিলেন এই যুগল।
করোনা মহামারীর কারণে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিল সেই শুভ আয়োজন। দু’বার ভিসার জন্য আবেদন জানিয়েও অনুমতি পাননি জাভেরিয়া। তৃতীয়বারে তাঁর স্বপ্ন সফল
দেখা করলেন নিজের ভালোবাসার মানুষ এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে। তাহলে আবারও প্রমাণ হয়ে গেল ভালোবাসায় বাধ মানে না দেশের সীমানা পরিধি। শত্রুতার বেড়াজাল তো সেখানে নেহাতই চুনোপুঁটি। জাভেরিয়া-সমীরের করাচী টু কলকাতার এই সফর চমকে দিচ্ছে অনেকেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়