Home আপডেট PM Narendra Modi: গীতাপাঠে না এসেও মোদী কীভাবে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন ?

PM Narendra Modi: গীতাপাঠে না এসেও মোদী কীভাবে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন ?

PM Narendra Modi: গীতাপাঠে না এসেও মোদী কীভাবে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন ?

[ad_1]

PM Narendra Modi: গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে না এসেও মাস্টারস্ট্রোক মোদীর! প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার প্রশংসা করছেন আয়োজকরা, কেন জানেন? কত সংখ্যক লোক হল তা নিয়ে বড় বিতর্ক হচ্ছে কিন্তু  পজেটিভ এফেক্টটা ভেবে দেখল কেউ শাপে বর হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেডে না আসা ব্রিগেডে কেন পালন করা হল গীতাপাঠের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান? যেখান এই ব্রিগেডকে কংগ্রেস থেকে বাম, বাম থেকে তৃণমূল বা বিজেপি বারবার রাজনৈতিক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করে? বাংলার বুকে এই প্রশ্নটাও উঠছে। আচ্ছা যেখানে সেখানে কি গীতাপাঠ করা যায়? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি এড়িয়ে গেলেন কলকাতার বুকে এই অনুষ্ঠান হল বলে?

প্রশ্ন অনেক তার ব্যাখ্যাও অনেক কিন্তু তবে তারা গোটা পরিস্থিতির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ করলেন তারা বলছেন যেটা হল সেটা ভালোই হল।
ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সনাতন ধর্মের এই অনুষ্ঠানে যত লোক দাবি করা হয়েছিল তত লোক হল কি হল না তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক ও তরজা গতকাল থেকেই চলছে বাংলার শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে শাসকদল তৃণমূল একে বিজেপির রাজনৈতিক ইভেন্ট বলে যেখানে দাগাতে চাইছে যেখানে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি তা খারিজ করতে ব্যস্ত কিন্তু এবার কথা বলা যাক প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বিচক্ষণতা নিয়ে কলকাতার বুকে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের আসার জন্য নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন নমো তাহলে শেষমেষ এমন কি হয়ে গেল যে তাঁর দফতর জানিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারবেন না। বাংলার বুকে কিসের পরীক্ষা নিলেন মোদী? ২০২৪ সালের আগে ঠিক এটাই কি দেখতে চেয়েছিলেন নমো?

আয়োজকদের দাবি ছিল প্রথমে যখন এই কর্মসূচির পরিকল্পনা হয় তখন অবশ্য কোনও বিশিষ্টের উপস্থিতির কথা ভাবা হয়নি পরে ঠিক হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আসবেন তারও পরে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম। রবিবার ব্রিগেডে হাজির থাকা সন্ন্যাসী সত্যানন্দ ব্রহ্মচারীর মুখে শোনা যায় মোদী না থাকায় ‘শাপে বর’ হয়েছে এই কর্মসূচী কারণস্বরূপ তিনি বলেন সবই ভগবানের ইচ্ছায় এই যে এত মানুষ গীতার টানে এসেছেন সেটাকে বলা হত মোদীর টান। সভায় ‘মোদী মোদী’ স্লোগানও উঠতে পারত। তার বদলে শুধুই ভক্তির পরিবেশ ছিল। ভগবানের নামেই একমাত্র স্লোগান হয়েছে। ইতিহাস এটাকে ‘মোদীর ব্রিগড’ নয়, ‘গীতার ব্রিগেড’ বলবে। এই ময়দান তো আজ ধর্মক্ষেত্র-কুরুক্ষেত্র রবিবারের ব্রিগেডে শোনা গেল নতুন স্লোগান ‘কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, গীতাপাঠ ঘরে ঘরে’।

গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের যারা আয়োজক ছিলেন তাদের কিন্তু প্রথম থেকেই নির্দেশ ছিল এই অনুষ্ঠানে যাতে রাজনীতির ছাপ না লাগে। তাই বিজেপির নেতা কর্মীদের বলে দেওয়া হয়েছিল কোনওভাবে যাতে বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে এই অনুষ্ঠানে না আসে। শুধু তাই নয় বিজেপির প্রায় সব সাংসদ, বিধায়ক, রাজ্য নেতানেত্রীরাই উপস্থিত ছিলেন তারা গীতাপাঠেও অংশ নিয়েছিলেন তবে মঞ্চের নীচে এখানেই যেন প্রমাণ হয়ে গেল রাজনীতি ধর্মের ওপরে নয় আর এটাই কি পরোখ করে নিতে চেয়েছিলেন নমো? বাংলা বরাবরই ধর্ম নিয়ে সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়ে এসেছে এখানে কোন বিশেষ ধর্ম নিয়েই কচকচানি নেই সেখানে মোদীকে দেখতে বা শুনতে নয় কোনও ধরণের রাজনীতির টানে নয় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের টানে মানুষ কতটা সাড়া দেয় গীতাপাঠ করার জন্য বা শোনার জন্য মানুষ কতটা আগ্রহী হন হয়ত সেটাই দেখতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বহু মহলের এমনটাই দাবি।

গীতার ব্যাখ্যা যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক হয়ে থেকেছে সর্বধর্ম সমন্বয় গীতার অন্যতম লক্ষ্য ছিল আর তাই গীতার গন্তব্য পূর্ণতায় অনুষ্ঠানের নামেই যে হেতু সংখ্যার অর্থাত লক্ষ্য কণ্ঠে গীতাপাঠ এই সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে আর ব্রিগেড মানেই যেখানে মাথা গোনার রীতি থেকেই থাকে সেখানে একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল রবিবারের সমাবেশে। কত লোক হয়েছে? নানা সংখ্যাও শুনিয়েছেন নানা জন কিন্তু সেটাই কি মুখ্য হওয়া উচিত কোথাও কীর্তন বা ঠাকুরের নামগান শুনতে গেলে কি আমরা লোকসংখ্যা গুনি তাহলে এখানেই কেন গোনা হবে কি উদ্দেশ্যে মানুষ জড়ো হচ্ছে সেটাকেই ফোকাস করার দরকার বোধহয় বেশি আর এটা তো প্রথম স্টেপ কে বলতে পারে সনাতন ধর্মের এধরণের প্র্যাকটিস বাংলার বুকে হয়ত এবার আরও বাড়তে পার যার প্রথম চারাগাছটাই পোঁতা হল বিগ্রেডে।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here