[ad_1]
Pragyan Rover On Moon: চাঁদের মাটিতে বড় বিপদের মুখে চন্দ্রযান-৩ ! কী ইনফো আসছে? চাঁদে আবহাওয়া মারাত্মক ঠান্ডা না গরম? তথ্য চমকে দেবে। চন্দ্রযান ৩ থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর ইসরোর হাতে। যা জানা গেল তা শুনে অবাক হয়ে যাবেন। চাঁদের মাটিতে এবার ভয়ঙ্কর তুফান? জলের সন্ধান কী পেয়ে গেল ইসরো? চাঁদের নাকি ওপরে গরম ভিতরে ঠান্ডা? ১৪দিন টিকে থাকতে পারবে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার ও রোভার? বড় চ্যালেঞ্জ সামনে তবে তার মাঝেই ইসরোর হাতে এল অবাক করা বেশ কিছু তথ্য।
শুধুমাত্র আমাদের দেশ নয় গোটা দুনিয়া অপেক্ষা করছে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যগুলোর জন্যই। কল্পনার চাঁদের বুড়ি কেমনভাবে বাঁচে চাঁদে? সোজা কথায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আবহাওয়া ঠিক কেমন জানেন? এক বিন্দু জলের সন্ধান নতুন করে তৈরি করতে পারে ইতিহাস। ল্যান্ডার বিক্রমকে ছেড়ে রোভার প্রজ্ঞান এগোতেই আচমকাই তার সামনে পড়ল ১০০ মিলিমিটারের একটি বিশাল গর্ত। সামনে গর্ত দেখে ঘুম উড়ে গিয়েছিল ইসরোর কন্ট্রোল রুমে থাকা বিজ্ঞানীদের কিন্তু, প্রজ্ঞানের কামালে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তাঁরা। বিজ্ঞানী পি বীরমুথুবেল জানিয়েছেন, ‘রোভারের মুভমেন্টের কিছু বাধ্যবাধকতাও রয়েছে প্রত্যেকবার নেভিগেশন ক্যামেরা যে ছবি পাঠাচ্ছে তার থেকেও ৫ মিটার বেশি রাস্তার ডিজিটাল এলিভেশন মডেল তৈরি করা হচ্ছে যখনই রোভার হাঁটার কমান্ড পাচ্ছে তখন সে পাঁচ মিটার অতিরিক্ত হাঁটছে রোভারের এক একটি মুভমেন্টে লাগছে পাঁচ ঘণ্টা সময়। রোভারের সামনে একের পর এক বাধা আসবে ঠিকই কিন্তু অতি সাবধানী হয়ে তা পার করছে প্রজ্ঞান।
আর এভাবেই চাঁদের অদ্ভুত ধরণের আবহাওয়ার রিপোর্ট জানতে পারবে বিশ্ব। ইসরো জানাচ্ছে চ্যাস্ট চাঁদের পৃষ্ঠের উপরের অংশের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছেন চন্দ্রপৃষ্ঠের উপরে, এবং পৃষ্ঠের নীচে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তাপমাত্রা পরিমাপ করতে ChaSTE নামে একটি যন্ত্র পাঠানো হয়েছে বিক্রম ল্যান্ডারে, যাতে চন্দ্র পৃষ্ঠের তাপীয় আচরণ জানা যায় এই ডিভাইসটি ১০ সেন্টিমিটারের মধ্যে এর মানে প্রায় চার ইঞ্চি পর্যন্ত তাপকে স্পর্শ না করে পৃষ্ঠ খনন না করে তাপ সনাক্ত করতে পারে। তাতেই জানা গিয়েছে চাঁদের উপরে গরম আর ভিতরে এত ঠান্ডা। চন্দ্রপৃষ্ঠে তাপমাত্রা ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে সেখানে পৃষ্ঠের নীচে, ১০ সেন্টিমিটার ভিতরে পারদ মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার আপনি নিজেই চিন্তা করুন যে মাটিতে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন তার নীচে -১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো ঠান্ডা। আর উপরের তাপমাত্রা আপনাকে ঘামতে বাধ্য করছে যত গভীরে যাবেন তত তাপমাত্রা কমতে থাকবে
ইসরো প্রধান সোমানাথ জানিয়েছেন, অনাবিষ্কৃত চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনার কারণেই ঝুঁকি নিয়েছে ইসরো। ওখানে রাসায়নিক উপাদান এবং জল খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ১৪ দিনের সূর্যালোকের পরে, রোভার এবং ল্যান্ডারটি একটি স্লিপিং মোডে চলে যাবে আবার যখন সূর্যের আলো ফিরে আসবে সিস্টেমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হবে যদি এটা সত্যিই সম্ভব হয় তবে আমরা ভাগ্যবান হব কারণ, তাহলে আরও ১৪ দিন পরীক্ষার জন্য পাওয়া যাবে। তবে এই কাজ এতটা সহজ নয়৷ প্রতি পদে পদে একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে ইসরো।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়