[ad_1]
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর মুখে বার বারই শোনা যায় সনাতন শব্দটি। তবে সেই সঙ্গেই বার বারই প্রশ্ন ওঠে সনাতনীরা আদপে কাদের দিকে? মানে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দিকে? এই প্রশ্নের কোনও সহজ উত্তর নেই অনেকের কাছেই। তবে ২২ জানুয়ারি সর্বধর্ম মিছিলের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর সেই মিছিলে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস্যরা। এমনকী ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এই মিছিলে অংশগ্রহণের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ট্রাস্টের সম্পাদক তপন কুমার মিশ্র শনিবার জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের ২৩টি জেলার সমস্ত ব্লকেই ভূদেবমন্ডলী অর্থাৎ জেলা সংগঠনের সদস্যরাও সংহতি মিছিলে অংশ নেবেন। কারণ বাংলায় ধর্মান্ধতার কোনও জায়গা নেই।
কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপর হাজরা মোড় থেকে এই মিছিলে অংশ নেবেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।
একদিকে যখন অযোধ্য়ায় রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে তখন বাংলার বুকে হবে সর্বধর্ম মিছিল। কালীঘাটের মিছিলে অংশ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই সঙ্গেই বালিগঞ্জের কাছে গুরুদ্বার ও পরে চার্চ ও মন্দিরেও শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়েই কার্যত গেরুয়া আবেগ। বাংলাতেও সেই আবেগ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসিন্দারা যাচ্ছেন অযোধ্য়ায়। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চান তাঁরাও। পাড়ায় পাড়ায় আচমকাই পুজো পাঠের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। রামমন্দির আবেগ আছড়ে পড়েছে বাংলাতেও। তবে বার বারই প্রশ্ন উঠছিল আদৌ কি ছুটি থাকবে ২২শে জানুয়ারি?
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘মন্দিরের উদ্বোধনকারীদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তবে মন্দির নিয়ে বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই ধরনের উন্মাদনা নেই। দেশের কোথাও না কোথাও প্রতি দিন মন্দির, মসজিদ, গির্জার উদ্বোধন হচ্ছে। এর অর্থ কি সেই সব দিনগুলিতে ছুটি দিতে হবে?’ উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, গোয়া সহ একাধিক রাজ্যের সরকার ইতিমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে রামমন্দির উদ্বোধনের দিন। সেদিন অর্ধেক দিন ছুটি থাকবে দিল্লিতেও। এমনকী বাংলার পড়শি রাজ্য সিকিম এবং ওড়িশাতেও সেদিন ছুটি থাকবে। এদিকে হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অসমে সেদিন মদের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে।