[ad_1]
রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে আদালতে পেশের আগে ইডির হাতে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, ৮ – ৯ বছর ধরে চলছিল এই কারবার। ইতিমধ্যে ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে ইডি। ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে আরও কোটি কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে বলে অনুমান।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০২০ সাল থেকেই বাকিবুরের দুর্নীতির খোঁজ ছিল রাজ্য পুলিশের কাছে। এমনকী নদিয়া জেলার ৩টি থানায় ৩টি FIRও দায়ের হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে বাকিবুরের আটাকল NPG প্রাইভেট লিমিটেডে ভাঙানো ৬২২ কেজি আটা উদ্ধার করেছিল রাজ্য পুলিশ। তার পর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিতে ৩০০০ কিলোগ্রাম আটা উদ্ধার হয়।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার কোতয়ালি, ধুবুলিয়া ও নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ রয়েছে বাকিবুরের বিরুদ্ধে। তার পরও তার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি কেউ। প্রভাবশালী যোগ থাকাতেই পুলিশের নাকের ডগায় দিনের পর দিন গরিবের মুখের গ্রাস খোলা বাজারে বিক্রি করে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন এই ব্যবসায়ী?
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, বাকিবুর ও তার সহযোগীদের ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে এখনো পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খুলে কয়েক কোটি কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়।
ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুরের চালকলে তল্লাশি চালিয়ে ১০৯টি সরকারি স্ট্যাম্প উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। এগুলি মূলত খাদ্য ও জরুরি পণ্য দফতরের। এছাড়া বাকিবুরের সহযোগীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ডায়েরি। যাতে লেনদেনের সমস্ত হিসাব লেখা রয়েছে। সোমবার ফের অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে আদালতে পেশ করে এই সমস্ত তথ্য জানাবে ED.