Home আপডেট Ration Scam Latest Update: কালো ২০ কোটি সাদা করা হয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির

Ration Scam Latest Update: কালো ২০ কোটি সাদা করা হয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির

Ration Scam Latest Update: কালো ২০ কোটি সাদা করা হয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির

[ad_1]

মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নাকি ৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। আদালতে এমনই দাবি করলেন ইডির তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বালুকে যে টাকা বাকিবুর দেওয়া হয়েছিল, তা নাকি ঋণ বাবদ দেওয়া হয়েছিল। এবং সেই ঋণ নাকি বিনা সুদে দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে বাকিবুরকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চায় ইডি। তদন্তকারীদের সেই অনুমতি মঞ্জুর করা হয়েছে আদালতের তরফে। এদিকে বাকিবুরকে আগামী ২২ নভম্বর পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আদালতে ইডি গতকাল আরও দাবি করেছে, তিনটি সংস্থায় কালো ২০ কোটি টাকা সাদা করা হয়েছে। রেশন দুর্নীতি থেকে প্রাপ্ত ছিল সেই টাকা। জানা গিয়েছে, সেই তিন সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী এবং কন্যা। এমনকী বালুর পরিচারক রামস্বরূপ শর্মাকেও ডিরেক্টর করা হয়েছিল এই সংস্থাগুলির। ইডির অভিযোগ, এই লেনদেন থেকে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছে বালু। ইডির দাবি এই তিন সংস্থার নাম – শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেডএবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড। এদিকে বালুর পরিচারককে কৃষি দফতরে চাকরিও দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইডি।

এর আগে ইডি দাবি করেছিল, পশ্চিমবঙ্গে চালু থাকা তিনটি রেশন প্রকল্পের ৩০ শতাংশ খাদ্যদ্রব্য বেআইনি ভাবে খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে। দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে চালকল মালিক ও রেশন ডিলারদের একাংশের পকেটে। এদিকে ইডির আরও দাবি, সরকার যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনে, তা নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়।

ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সল্টলেকের একটি বাড়িতে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের বৈঠক হত। ইডির তথ্য অনুযায়ী, বৈঠক হওয়া বাড়িটা একজন প্রোমোটারের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কনভয় সেখানে আসত। ওখানে বাকিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক চলত। খাদ্য ভবন থেকে বেরিয়ে কনভয় করে ওই বাড়িতেই আসতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গোটা বাড়িতেই ছিল সিসিটিভি। ইডি আরও দাবি করেছে, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ১২ হাজারেরও বেশি ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, রেশন দোকানের মালিকের নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছিল। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই এক দশকে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ইডির। আর তদন্তকারীরা বলছেন, এই গোটা নেটওয়ার্কের মাস্টারমাইন্ড নাকি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই। ইডির বক্তব্য, যে পরিমাণের দুর্নীতি হয়েছে, তা খাদ্য দফতরের মদত ছাড়া করা অসম্ভব।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here