[ad_1]
নয়াদিল্লি : মঙ্গলবার দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন এনসিপি সুপ্রিমো। রাজনীতিতে বরাবরই নানা মোড় ঘোরানো মোচড়ে অভ্যস্ত শারদ পাওয়ারের এহেন সিদ্ধান্তের পরে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন, আলোচনা, জল্পনা সবকিছুই তুঙ্গে। দলের অন্দরে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এবং ভাইপো অজিত পাওয়ারের মধ্যে দলের কর্তৃত্ব ভাগ করে দিতে চাইছেন মরাঠা স্ট্রংম্যান।
কিন্তু রাজনীতির জল্পনা উস্কে দিয়ে শোনা যাচ্ছে, দলের কর্তৃত্ব পাওয়ার লড়াইয়ে এবার উঠে আসছে নতুন নামও। তিনি রোহিত পাওয়ার। বিধায়ক এবং মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহিত এনসিপি সুপ্রিমোর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। দলের পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা চূড়ান্ত করার জন্য মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে, ভাইপো অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেলকে নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের চার বারের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুতিনকে খুনের ছক! ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের, ভয়ঙ্কর হুমকি দিল রাশিয়া
ইতিমধ্যে সুপ্রিয়া সুলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চান। অর্থাৎ দলের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব যদি শারদ কন্যা নিতে চান, তাহলে এনসিপি-র রাজনীতির মূল ঘাঁটি মহারাষ্ট্রের কর্তৃত্ব কে পাবেন? এখানেই অজিত পাওয়ারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে উঠে আসছে সম্পর্কে শারদ পাওয়ারের নাতি রোহিত পাওয়ারের নাম।
পেশায় ব্যবসায়ী রোহিত পাওয়ার একেবারে জেলা পরিষদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে আসেন। আর তারপর ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বিধায়ক রামাশঙ্কর শিণ্ডে-কে তেতাল্লিশ হাজারেরও বেশি ভোটে হারান শারদ পাওযারের বড় ভাইয়ের পৌত্র রোহিত পাওয়ার। রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়ে ভোটে জেতার পর বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে রামাশঙ্করের আশীর্বাদ নেন রোহিত।
শারদ পাওয়ারের মতই ক্রিকেট সংগঠন পরিচালনায় অভ্যস্ত রোহিত ইন্ডিয়ান সুগার মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হয়েছিলেন ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। এনসিপি সূত্রে খবর, সাঁইত্রিশ বছরের এই বিধায়ক শারদ পাওয়ারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাই দলের কর্তৃত্ব মহারাষ্ট্রে কার হাতে থাকবে তা নিয়েই নানা জল্পনা চলছে এনসিপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।
Tags: Maharashtra, NCP, Sharad Pawar