Home আপডেট Sandeshkhali: সন্দেশখালির তুষ চাপা আগুনে ঘি পড়ল কী করে? জেনে নিন আসল কাহিনী

Sandeshkhali: সন্দেশখালির তুষ চাপা আগুনে ঘি পড়ল কী করে? জেনে নিন আসল কাহিনী

Sandeshkhali: সন্দেশখালির তুষ চাপা আগুনে ঘি পড়ল কী করে? জেনে নিন আসল কাহিনী

[ad_1]

তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের জন জাগরণে ৩ দিন ধরে উত্তপ্ত সুন্দরবন লাগোয়া প্রত্যন্ত সন্দেশখালি। একের পর এক তৃণমূল নেতার সম্পত্তি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবারও সন্দেশখালি লাগোয়া জেলিয়াখালিতে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরার ৩টি পোল্ট্রি ফার্ম ও ১টি মদের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কীভাবে ক্ষোভের আগুন ছড়াল সন্দেশখালিতে? গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন: রাজ্য বাজেটে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ, কেন্দ্রীয় পোর্টালে তথ্য নেই

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সন্দেশখালির প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে শেখ শাহজাহান ও তার ২ অনুগামী শিবু হাজরা ও উত্তম সরদারের অত্যাচার মাত্রা ছাড়ায়। স্থানীয়দের বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করে তারা। প্রতিশ্রুতি দেয় সেজন্য চাষের লভ্যাংশ পাবেন জমিদাতারা। যারা জমি দিতে চাননি তাদের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে জমি দিতে বাধ্য হন তাঁরাও। গ্রামবাসীদের দাবি, মাছ চাষ শুরু হওয়ার পর কয়েক বছর ঠিক মতো লভ্যাংশ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বখরার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় উত্তম সরদাররা। যার ফলে অনটন শুরু হয় একাধিক পরিবারে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, টাকা চাইলে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করত তৃণমূলের বাহিনী। বৈঠকের নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে আগে থেকে জড়ো করে রাখা গুন্ডাদের দিয়ে পেটানো হত গ্রামবাসীদের।

আরও পড়ুন: মৎসজীবীরা বাড়ি থেকে দুই মাস পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন, কল্পতরু বাংলার বাজেট

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকায় নদী ও পুকুরের জল লোনা হওয়ায় তারা পঞ্চায়েতের পরিশ্রুত পানীয় জলের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। অভিযোগ, সেই পানীয় জল মাছ চাষের ভেড়িতে দিত উত্তম – শিবুরা। যার ফলে বছরের পর বছর পানীয় দলের সংকটে ভুগেছেন গ্রামবাসীরা।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মাছ চাষের লভ্যাংশ না দেওয়ায় সম্প্রতি উত্তম সরদারের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কয়েকজন গ্রামবাসী। অভিযোগ, সেদিন থানায় অভিযোগ জানাতে যারা যারা গিয়েছিলেন তাদের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে উত্তম সরদার লেখেন, এদের পালিশ করা হবে। এর পর বুধবার বিকেলে সমস্যার সমাধানে বৈঠক ডাকেন উত্তম। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীরা দেখেন, আগে থেকেই বৈঠকে হাজির রয়েছে বহিরাগত গুন্ডারা। তাদের দিয়ে গ্রামবাসীদের শাসানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশে দায়ের অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেওয়া হয়। এর ফলে বৈঠকে উত্তেজনা ছড়ায়। বৈঠক শেষে তৃণমূলকর্মীরা মিছিল করে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ফেরি করে নদী পার করাতে যান। সেই মিছিলে ছিলেন উত্তম নিজে। উত্তম যখন বাইরে থেকে আনা গুন্ডাদের নৌকায় তুলছেন তখনই পিছন থেকে হামলা চালায় গ্রামবাসীদের একাংশ। তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।

উত্তমের যে বখরা বকেয়া রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তিনি বলেন, উত্তম ৩ বছর ধরে লিজের টাকা দিচ্ছে না শুনেছি। এটা আলোচনা করে মেটানো হবে।

 

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here