[ad_1]
সন্দেশখালিতে তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহানের পোষা দুষ্কৃতীবাহিনীর আক্রমণে আহত ইডি আধিকারিকদের চিকিৎসা শুরু হল বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতালে। শুক্রবার দুপুরে ধামাখালি হয়ে কলকাতা ফেরেন তাঁরা। তাঁদের অবস্থায় স্থিতিশীল হলেও তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইডির ৩ জন আধিকারিকের আঘাত গুরুতর। তাঁদের মধ্যে রাজকুমার রাম নামে ইডির এক সহ অধিকর্তার মাথায় ৬টি সেলাই পড়েছে। সেলাই পড়ে ইডি আধিকারিক অঙ্কুর ও সোমনাথ দত্তের মাথাতেও। তাঁদের HDUতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শাহজাহান বাহিনীর হাতে আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের শরীরের ভিতরের কোনও অংশে আঘাত রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
এদিন হাসপাতালে আক্রান্ত আধিকারিকদের দেখতে যান ইডির যুগ্ম অধিকর্তা মিথিলেশ কুমার মিশ্র। দিল্লির সদর দফতর থেকেও তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া হয়।
শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী – পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।
এই ঘটনার পর রাজ্যপালকে পদক্ষেপ করাতে আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেওয়া উচিত রাজ্যপালের।
এর পর জারি এক অডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, ‘যে ভয়াবহ ঘটনার খবর সন্দেশখালি থেকে পেয়েছি তা উদ্বেগজনক ও অগ্রহণযোগ্য। বর্বরতা ও তাণ্ডব বন্ধ করা গণতন্ত্রে যে কোনও সভ্য সরকারের দায়িত্ব। সরকার তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে সংবিধান তার পথে চলবে। রাজ্যপাল হিসাবে এই ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আমি আমার সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষিত রাখছি। পেশিশক্তির প্রদর্শন ও কাগুজে বাঘদের দিয়ে কদমতাল করিয়ে বাংলার মানুষের কোনও উপকার হবে না। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডারাজ শুধু মুর্খের স্বর্গে কাজ করে। বাংলা কোনও বানানা রিপাবলিক নয়। সরকারের তাদের পদক্ষেপ করা উচিত। ভোটপূর্ব এই হিংসা নিশ্চিতভাবে অবিলম্বে অবসান হওয়া উচিত। এই হিংসার দায় শুধুমাত্র বর্তায় সরকারের ওপর। সরকারের উচিত চোখ মেলে বাস্তবকে দেখা এবং যথাযথ পদক্ষেপ করা। নইলে তাদের এর ফল ভোগার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত’।