[ad_1]
পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযোগ দায়ের না করে সরাসরি আদালতে গিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন সন্দেশখালির ধর্ষিতা। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে স্বীকার করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ডিজির এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের দাবি, পুলিশ স্বীকার করে নিল, তাদের ওপর ভরসা নেই সন্দেশখালির মহিলাদের।
আরও পড়ুন: ছুড়ে ফেলা হয়নি, পড়ে গিয়েছে, ৭ দিন পর সন্দেশখালি গিয়ে বলল রাজ্য শিশু কমিশন
এদিন রাজীব কুমার বলেন, ‘একজন ভদ্রমহিলা আমরা যাঁর সাথে কথা বলেছিলাম তিনি কোনও রকম ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে, ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দিতে একথা বলেছেন। আমরা সেটা মামলায় সংযুক্ত করেছি। যাতে সমস্ত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা যায়’।
প্রশ্ন উঠছে, ডিজির এই বক্তব্যে কি স্পষ্ট নয় যে পুলিশের ওপর কোনও ভরসা নেই সন্দেশখালির মহিলাদের? নইলে তাবড় পুলিশ আধিকারিককে সামনে পেয়েও তাঁদের বদলে কেন আদালতের ম্যজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দিলেন নির্যাতিতা মহিলা।
আরও পড়ুন: ছুড়ে ফেলা হয়নি, পড়ে গিয়েছে, ৭ দিন পর সন্দেশখালি গিয়ে বলল রাজ্য শিশু কমিশন
স্থানীয়রা বলছেন, শাহজাহান, শিবু ও উত্তমের কীর্তি নিয়ে বারবার অভিযোগ জানানো হয়েছিল থানায়। কিন্তু কোনও অভিযোগে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। উলটে সমস্যা সমাধানে অভিযুক্তদের দরজা দেখিয়ে দিতেন পুলিশ আধিকারিকরা। ওদিকে শিবু, উত্তম বলে বেড়াত থানা – পুলিশ তাদের পকেটে। এহেন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে নির্যাতিতাকে বয়ান বদল করে বাধ্য করা হত বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের।
আইনজীবীদের মতে, কোনও নির্যাতিতা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দিতে ধর্ষণ বা গণধর্ষণের অভিযোগ করলে পুলিশের ধারা যুক্ত করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই উত্তম সরদার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা দিয়েছে পুলিশ। বিরোধীদের প্রশ্ন, এই ঘটনার পর রাজ্য পুলিশ মুখ লুকাবে কোথায়?