[ad_1]
শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা ছিলেন তিনি। তৃণমূল নেতাদের কথায় তিনি নাকি সন্দেশখালির বাঘ। ধরা পড়ার পরেও দেখা গিয়েছিল তার দাপট। তবে এবার ধীরে ধীরে ইডির জেরায় ভাঙছেন শাহজাহান। এমনটাই জানা গিয়েছে। এমনকী শাহজাহানের দাপট কতটা ছিল তা নিয়েও ইডির সামনে মুখ খুলেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, ইডি তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিয়েছে আদালতে। সেখানেই শাহজাহানের এই দাবির কথা জানানো হয়েছে। তবে এবার শাহজাহানের আইনজীবী শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে জানিয়েছেন, শাহজাহান যে বয়ান আগে জানিয়েছিলেন তা তিনি প্রত্যাহার করতে চাইছেন। এমনকী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তিনি আগে যে বয়ান দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহার করতে চাইছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
এদিকে এসবের মধ্য়েই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সন্দেশখালির ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টে যৌন হেনস্থা, জমি দখল করা, ভোট দিতে বাধা দেওয়া সহ একাধিক বিষয়কে সামনে আনা হয়েছে।
এদিকে দল থেকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে শেখ শাহজাহানকে। ইডি আদালতে যে বক্তব্য জানিয়েছে সেটাতে বলা হয়েছে, সন্দেশখালি এলাকায় তিনিই( শেখ শাহজাহান) শেষ কথা। তাঁর কথাতেই সব কাজ হয়। যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন তিনি। এমনকী তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা সন্দেশখালির ব্যাপারে তাঁর কথাই শুনে চলতেন। ইডিকে এসব কথা জানিয়েছেন শেখ শাহজাহান। এমনটাই আদালতে জানিয়েছে ইডি।
এদিকে শাহজাহানের কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে তারও খোঁজ নিচ্ছে ইডি। সেই খোঁজ নিতে গিয়ে ইডির তরফে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে শেখ শাহজাহানের নামে একাধিক গেস্ট হাউজ রয়েছে। এদিকে শেখ শাহজাহানের দাবি তাকে দিয়ে জোর করে বয়ান লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
তবে ইডি অবশ্য় জানিয়েছে শেখ শাহজাহান আরও কিছু জানিয়েছে তাদের। আর কী জানিয়েছে শাহজাহান?
সন্দেশখালিতে পঞ্চায়েত স্তর থেকে লোকসভা স্তর পর্যন্ত কে প্রার্থী হবেন, কে ভোটে জিতবেন তা তিনিই ঠিক করে দেবেন। তাঁর অমতে কোনও কাজই হত না। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব তার মতামতকেই গুরুত্ব দিত।
এদিকে সন্দেশখালির বাসিন্দাদেরও অনেকেই জানিয়েছিলেন, বাস্তবিকই শেখ শাহজাহানই ছিলেন শেষ কথা। তার নির্দেশ ছা়ড়া কোনও কাজ করা সম্ভব ছিল না। কার্যত শাহজাহানের নির্দেশ ছাড়া একটা পাতাও নড়ত না সন্দেশখালিতে। আর শেখ শাহজাহান নিজেই সেই শক্তির কথা জানিয়েছেন ইডিকে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে।