Home আপডেট Sheikh Shahjahan in Kolkata: এ যেন সিনেমার দৃশ্য! কনভয়ে ঢুকল অন্য গাড়ি, এই ফাঁকে শাহজানকে নিয়ে সোজা কলকাতায় পুলিশ

Sheikh Shahjahan in Kolkata: এ যেন সিনেমার দৃশ্য! কনভয়ে ঢুকল অন্য গাড়ি, এই ফাঁকে শাহজানকে নিয়ে সোজা কলকাতায় পুলিশ

Sheikh Shahjahan in Kolkata: এ যেন সিনেমার দৃশ্য! কনভয়ে ঢুকল অন্য গাড়ি, এই ফাঁকে শাহজানকে নিয়ে সোজা কলকাতায় পুলিশ

[ad_1]

আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান শেখ শাহজানকে। এরপরে সরকাপক্ষের আইনজীবীর কাছে সংবাদমাধ্যম জানত চেয়েছিল, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে? আইনজীবীরা অবশ্য তখন বলেছিলেন, ‘এটা পুলিশের বিষয়। আমরা জানি না।’ পরে পুলিশ শাহজাহানকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কনভয়ের পিছনে যেতে থাকে সংবাদমাধ্যমের একাধিক গাড়ি। তবে এরই মাঝে সেই কনভয়ে ঢুকে পড়ে ‘অন্য গাড়ি’। সেই গাড়িটিকে কনভয় থেকে সরাতেই ৫-৭ মিনিট সময় লাগিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা। সেই সময়ের মধ্যে কনভয়ের তিনটি গাড়ি এগিয়ে যায়। তার একটিতে ছিলেন শাহজাহান। আর আটকে থাকা কনভয়ের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকে সংবাদমাধ্যম। এই আবহে শাহজাহানকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের চোখের আড়ালে চলে যায় পুলিশ। পরে জানা যায়, বসিরহাট থেকে একেবারে কলকাতায় ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয় শাহজাহানকে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপরে হামলার মামলায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে গতরাতে। মাঝের ৫৫ দিন সন্দেশখালির ‘বাঘ’ কোথায় ছিলেন, তা জানা নেই সাধারণ মানুষের। এদিকে পুলিশ জানায়, গতকাল মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে। তবে শাহজাহানকে নিয়ে প্রথম থেকেই চরম গোপনীয়তা রক্ষা করে এসেছে পুলিশ। এই আবহে আজ প্রায় গ্রিন করিডর করে শাহজাহানকে ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয় বসিরহাট মহকুনা আদালত থেকে। আগামী ১০ দিন ভবানী ভবনেই তাঁকে রাখা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখানেই তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হবে।

উল্লেখ্য, বিগত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছিল। তবে এতদিন তিনি অধরা ছিলেন। এরই মাঝে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই আবহে এখন রাজ্য রাজনীতির সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় সন্দেশখালি। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কয়েকদিন পরই সন্দেশখালিতে শাহজাহান, তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়। সেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে সন্ত্রাসের রাজ চালানোর অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মারধর, হুমকি, অত্যাচার, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল শাহজাহান বাহিনী। পরবর্তীতে উত্তম এবং শিবুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অজিত মাইতিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে শাহজাহান এতদিন অধরা ছিল।

এরপর গতকাল গভীর রাতে গ্রেফতার হন শাহজাহান। এরপর আজ সকালে বসিরহাট আদালতের লকআপেই শাহজাহানকে রাখা হয়েছিল বলে জানা যায়। এই আবহে বসিরহাট মহকুমা আদালতকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় আজ। আদালতে ঢোকা-বেরনোর প্রায় সব প্রবেশদ্বারে ব‍্যারিকেড বসানো হয়। এদিকে শাহজাহানের গ্রেফতারির পরই সন্দেশখালিতেও বেড়েছে পুলিশের নিরাপত্তা। একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here