Home আপডেট শীতে সবুজদ্বীপ ও ঝড়খালিকে ঢেলে সাজাচ্ছে পর্যটন দপ্তর

শীতে সবুজদ্বীপ ও ঝড়খালিকে ঢেলে সাজাচ্ছে পর্যটন দপ্তর

শীতে সবুজদ্বীপ ও ঝড়খালিকে ঢেলে সাজাচ্ছে পর্যটন দপ্তর

হুগলির জনপ্রিয় এলাকা সবুজদ্বীপ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঝড়খালিকে পরিবেশবান্ধব সাংস্কৃতিক পযটক কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিল রাজ্য পর্যটন বিভাগ। এই দু’‌টি অঞ্চলে গোটা বছর ধরেই পর্যটকদের ভিড় লেগে রয়েছে। কিন্তু যথাযথ পরিকাঠামো না থাকায় পর্যটকদের বহু অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়। রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্যই হল এই দু’‌টি এলাকাকে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটক ম্যাপে যুক্ত করা। এই দুই এলাকায় বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পর্যটন দফতর কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছে। জানা গিয়েছে, সবুজদ্বীপে দুটি দ্বীপ রয়েছে। একটি ৫৫ একরের ও অন্যটি ৪৪ একরের। এই দু’‌টি দ্বীপকেই পরিবেশবান্ধব সাংস্কৃতিক অঞ্চল হিসাবে গড়ে তুলতে দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এই দুই দ্বীপে স্থানীয় শিল্পীরা তাঁদের হস্তশিল্পের স্টলও দিতে পারবেন, যাতে পর্যটকদের কাছে সেগুলি তাঁরা বিক্রি করতে পারেন। শুধু তাই নয়, বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পীরা তাঁদের গানের সম্ভার নিয়ে প্রত্যেক সন্ধ্যায় হাজির থাকবে বিভিড়্ন ধরনের অনুষ্ঠান করতে। পর্যটন দপ্তরের বিশ্বাস এগুলি করলে আরও বেশি করে পর্যটক আসবে এখানে। জানা গিয়েছে, সিপিএম সরকারের আমলে এই দুই স্থানকে দীর্ঘদিন ধরে গাফিলতি করা হয়েছিল। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর এই দুই এলাকা সহ বেশ কিছু স্থানকে সাজিয়ে তুলেছে এবং পর্যটন শিল্পে অগ্রগতি এনেছে।

রাজ্যের বন দপ্তর চিড়িয়াখানা করবে ঝড়খালিতে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোফ অরণ্য সুন্দরবন। পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে উত্তবঙ্গের গাজলডোবাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এবং যা পর্যটনদের আকর্ষণও করে। মূর্শিদাবাদেও চলছে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ, কারণ প্রতিবছর এখানেও ভিড় জমায় পর্যটকরা। দপ্তরের পক্ষ থেকে মতিঝিলকে সংস্কার করা হয়েছে। নদিয়ার পলাশি, যা বাংলার ইতিহাস বহন করে চলেছে, সেটিও পর্যটন দপ্তরের হাতে পড়ে সুন্দরভাবে সেজে উঠেছে। রাজ্যের হেরিটেজ কমিশন পলাশির সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু নির্দেশনা সরকারকে দিয়েছে। পলাশিকে মুখ্য পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে পর্যটক দপ্তর সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।