[ad_1]
দিল্লি: উত্তর ভারতের মানুষ রকমারি চাট খেতে খুবই পছন্দ করে। সত্যি বলতে কী চাটের নাম শুনলেই জিভে জল আসতে বাধ্য। মহিলাদের মধ্যে বিশেষ করে জনপ্রিয় চাট। পাপড়ি চাট, আলু টিক্কি চাট থেকে শুরু করে রাজকচোরি চাট- সবই অত্যন্ত লোভনীয়। দেশের রাজধানী শহর দিল্লিও এর ব্যতিক্রম হয়। স্ট্রিট ফুডের তালিকাতেই মূলত পড়ে এই সুস্বাদু, লোভনীয় খাবার। কেনাকাটা করতে বেরিয়েই হোক কিংবা স্কুল-কলেজ-অফিসে বেরিয়েই হোক, চাটের টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদ সকলেরই প্রিয়। আর দিল্লির চাটের সুনাম তো সারা ভারতেই রয়েছে। আজ দিল্লির এক জনপ্রিয় চাট স্টলের গল্প শোনাব। অন্তত এক বার চাট চেখে দেখতে এই স্টলে যেতেই হবে।
এখানকার আলু টিক্কি চাট চেখে না দেখলেই নয়
আরও পড়ুনঃ কন্যাসন্তান জন্মালেই আরও ১১১ ‘সন্তান’-এর রোপণ, কী বিস্ময়কর এই গ্রামের নিয়ম! কোথায় জানেন?
দিল্লির শাহদারা ছোট বাজারের ওমপ্রকাশ চাট কর্নারের কথা হচ্ছে। শুধু দিল্লি কিংবা দিল্লি সংলগ্ন এলাকাই নয়, অন্যান্য শহর থেকেও এখানে চাট খেতে আসে বহু চাটপ্রেমী মানুষই। এই দোকানটির মালিক হলেন সোহনলাল সিং। তিনি বলেন যে, তাঁর বাবাই মূলত এই ছোট্ট দোকানটি খুলেছিলেন। এখানকার সুনাম এতটাই যে, দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানে চাট খেতে আসে। কিন্তু এখানকার চাটের বিশেষত্ব কী? সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন খোদ মালিকই। তিনি বলেন, “এখানকার চাট টক, মিষ্টি এবং মশলাদার স্বাদের হয়। এছাড়া চাটের মধ্যে পড়ে আলু, ছোলা, পাপড়ি এবং টক দই। যা চাটের স্বাদ আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। আর সবথেকে বড় কথা হল, চাটের সম্পূর্ণ মশলা আমরাই বানিয়ে থাকি। বাবার সময় থেকে এই নিয়ম চলে আসছে।”
কিন্তু বিশেষ এই চাটের দাম কেমন? সেই বিষয়ে আশ্বস্ত করে সোহনলাল জানান খুব একটা বেশি নয়। পকেটে তেমন চাপও পড়বে না। এক প্লেট আলু টিক্কি চাটের দাম ৪০ টাকা। আর ১ প্লেট পানিপুরির দাম ২০ টাকা। এমনকী এখানে পৌঁছনোর দিকনির্দেশও দিয়েছেন সোহনলাল। ওমপ্রকাশের চাট খেতে গেলে প্রথমে শাহদারা মেট্রো স্টেশনে পৌঁছতে হবে। ওই মেট্রো স্টেশন থেকে চাটের দোকানটি মাত্র ৩০০ মিটার দূরে। সপ্তাহে ৭ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই চাটের দোকান।
Tags: Delhi, Food, Street food