Home বিদেশ Star Tortoise Smuggling: বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছিল ভারতের অমূল্য প্রাণী! হাতেনাতে ধরল বিএসএফ

Star Tortoise Smuggling: বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছিল ভারতের অমূল্য প্রাণী! হাতেনাতে ধরল বিএসএফ

Star Tortoise Smuggling: বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছিল ভারতের অমূল্য প্রাণী! হাতেনাতে ধরল বিএসএফ

[ad_1]

Star Tortoise Smuggling: ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারে উদ্ধার অসাধারণ সুন্দর এক প্রাণী। নাম আপনার অত্যন্ত অপরিচিত। কিন্তু খুব একটা চোখে পড়ে না। চোরাকারবারিদের খপ্পরে পড়েছিল। ভারতের এই অসহায় প্রাণীদের উদ্ধার করল বিএসএফ। পিঠে তারার মতো নকশা কাটা। এক ঝলকে দেখলে মনেই হবে না এই প্রাণীটির নাম আপনার অত্যন্ত চেনা। এটি বিপন্ন প্রজাতির এক প্রাণী। চলতি নাম তারকা কচ্ছপ। কচ্ছপের পিঠের খোলে স্টারের মতো নকশার কারণে, এমন নাম দেয়া হয়েছে। সেই ২০১৬ সাল থেকে আইইউসিএন রেড লিস্টে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত।

উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে রয়েছে পাঁচ ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ বর্ডার ফাঁড়ি। এখানে ভারতীয় জওয়ানরা অত্যন্ত সজাগ। সীমান্তের অতন্ত্র পাহারাদার। রেয়াত দেয় না বেআইনি কাজ থেকে শুরু করে অসাধু ব্যক্তিদের। একের পর এক ভেস্তে দেয় সীমান্তে বন্যপ্রাণীর চোরাচালন কারবার। এবার বাংলাদেশের এক চোরাকারবারির কাপড়ের ব্যাগ থেকে উদ্ধার করল বিপন্ন ভারতীয় স্টার কচ্ছপ। সংখ্যায় প্রায় ২৯৬ টি। পাচার করা হচ্ছিল বাংলাদেশে।

আসলে ভারতীয় সেনাদের চোখ এড়িয়ে অসাধু ব্যক্তির বাঁচা দুষ্কর। সৈন্যদের কড়া নজরদারিতে তারা ঠিক ধরা পড়ে। যদি কোন ভুল কাজ করে থাকে তাহলে তা বের করতে বিন্দুমাত্র সময় নেয় না বিএসএফ। এখানে যে চোরাচালান হতে পারে, তার গোয়েন্দা তথ্য চলে গিয়েছিল বিএসএফের কাছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন এলাকায় স্থাপন করা হয় একটি অ্যামবুশ। পর্যবেক্ষণ করা হয় দুষ্কৃতীর সন্দেহজনক গতিবিধি। ধরা ধরা পড়ে চোরাকারবারি।

পাচারকারীর নাম রফিকুল শেখ। বয়েস ছত্রিশ বছর। বাড়ি বাংলাদেশের যশোরে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা কচ্ছপগুলো বনদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত করতেই বেরিয়ে আসে, বিশাল রহস্যের জাল। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি স্বীকার করেন, বাংলাদেশের জাকির হোসেন নামক এক ব্যক্তির নির্দেশে অবৈধভাবে ভারতের দিকে পাড়ি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের নদী তীর থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন জাকির হোসেনের সঙ্গে। নদী পার হওয়ার পর ভারতীয় ভূখণ্ডের সুপারি বাগানের কাছে এক ভারতীয় চোরাকারবারির কাছ থেকে নেন তিনটি বড় আকারের ব্যাগ। যেখানে ছিল ২৯৬ টি কচ্ছপ। যদি সফলভাবে জাকির হোসেনের কাছে ব্যাগ তিনটি পৌঁছে দিতেন, তাহলে বাংলাদেশি মূল্যে পেতেন ২ হাজার টাকা। কিন্তু নদী পার হওয়ার সময় বিএসএফের কাছে ধরা পড়েন।

চোরাকারবারিদের আটকাতে এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির উদ্ধারে বিএসএফের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র সীমান্তে নিরাপত্তা নয়, উপরন্তু আঞ্চলিক জীব বৈচিত্র সংরক্ষণেও তাদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here