Home আপডেট একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর……

একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর……

একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর……

‘তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দরে ১৫,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে,ফলে তৈরি হবে ২৫,০০০ কর্মসংস্থান’, বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী ২৮ ডিসেম্বর তাজপুর বন্দর নির্মাণের জন্য আমরা সংবাদপত্র বিজ্ঞাপন দিচ্ছি। দেশের এবং পৃথিবীর সমস্ত বৃহৎ বন্দর নির্মাতা সংস্থাগুলির উদ্দেশে আমাদের অনুরোধ, আপনারা তাজপুর বন্দর নির্মাণে এগিয়ে আসুন। এটা রাজ্য সরকারের একটি প্রকল্প। ৪,২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে কোনো জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। কিন্তু বন্দর নির্মাণের সুযোগ মিলবে। আগ্রহী সংস্থাগুলি সাড়া দেওয়ার পর তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে”।তিনি বলেন, “এটা ছাড়াও মোট ১৫,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে তাজপুরে। এটাই রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর, যার ফলে বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। এখানে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দুই মেদিনীপুরের ক্ষেত্রেই ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপুল প্রসার ঘটবে”।তাজপুরে বন্দর নির্মাণ হলে একাধিক জেলা উপকৃত হবে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সারা দেশের লোহা-ইস্পাত আমদানির ১৩ শতাংশ হয়ে থাকে আমাদের রাজ্য থেকে। কোল ইন্ডিয়ার কয়লা উৎপাদন আমাদের রাজ্যে ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে। কয়লার জন্য নির্দিষ্ট জাতীয় নীতি রয়েছে। কিন্তু লৌহ আকরিকের নেই। তা যাইহোক, এই বন্দর তৈরি হলে, রাজ্য থেকে তার রফতানি আরও বৃদ্ধি পাবে। আর কাছাকাছি বন্দর থাকার জন্য খড়গপুর এবং সংলগ্ন এলাকায় লোহা-ইস্পাতের শিল্প আরও বেশি করে প্রসার পাবে। এর ফলে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমান এবং বাঁকুড়া থেকেও ইস্পাত রফতানি উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়বে”। এই বন্দরের মাধ্যমে মৎস্যজীবী ছাড়া অন্যরাও হাতে কাজ পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এই বন্দর তৈরি হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং জাপানে যে সি ফুড রফতানি হয়, সেটাও বাড়বে। শুধু যে লক্ষ লক্ষ মৎস্যজীবী উপকৃত হবেন তা নয়, অনেক মানুষের হাতে কাজ মিলবে। মৎস্যজীবীদের ঘরে যেমন টাকা আসবে, তেমন অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। প্রয়োজনে সেখানে একটা রফতানি কেন্দ্রও তৈরি করা হতে পারে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রীর আরেকটি বড় ঘোষণা ছিল সিঙ্গুর নিয়ে। যেখানে রাজ্য সরকার অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তুলছে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তর। সেখানে ১০ থেকে ৩০ কাঠা জমি নিতে পারবে যে কোনও সংস্থা। পাশাপাশি, সিলিকন ভ্যালিতে জমি দেওয়ার জন্য বিশেষ উইন্ডো খুলছে হিডকো-ও। এর পাশাপাশি, পানাগড়ের শিল্প পার্কে  ৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গড়ে উঠবে ফুড প্যাকিং শিল্প। সেখানে ৩৮ একর জমি নিয়েছে ধানুকা গ্রুপ। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে চিঠিও দিয়েছে বলে খবর।সবমিলিয়ে নতুন বছরে রাজ্যজুড়ে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান হবে বলে এদিন স্বপ্ন দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সবটাই রাজনৈতিক গিমিক, মত বিরোধীদের।