দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। তাঁর জায়গায় নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অখিল গিরি। এ ব্যাপারে মতামত চাইলে শিশির বলেছেন, আমার কিছু জানানেই, তাই প্রতিক্রিয়াও নেই।এর আগে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অখিল। সাম্প্রতিককালে দলীয় নেতৃত্বের কাছের লোক হয়ে উঠেছেন তিনি। ৭ তারিখ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অখিলের করোনা হওয়ায় সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় বলে দাবি করে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অখিল নিয়মিত শুভেন্দুকে আক্রমণ করে চলছেন।গত মাসে  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মেদিনীপুরের জনসভায় বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তারপর থেকেই তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তৃণমূল ছাড়বেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। শুভেন্দুর দলত্যাগের পর কাঁথিতে তৃণমূলের জনসভায় অধিকারী পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর পরিবারের অন্য কোনও সদস্য দল না ছাড়ায় কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল। তার জবাবে শুভেন্দু বলেন, ভাইপো বলছে, লজ্জা করে না, বাড়িতে ফোটাতে পারনি। আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকেও পদ্ম ফোটাব’।এর পরেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসকপদ থেকে শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারিত করে নগরোন্নয়ন দফতর। বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। শুভেন্দুর দলত্যাগের পরে সৌমেন্দুকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। এর ফলেই তাঁর অপসারণ বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।এর প্রতিবাদে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু। দিনকয়েক পর কাঁথিতে দাদা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। আর আজ দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দু-সৌমেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী অপসারিত হলেন। যদিও তাৎপর্যপূর্ণভাবে হলদিয়া উন্নয়ন পর্যদের নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন শুভেন্দুর আর এক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।