Home আপডেট ‘১০ কোটি মানুষের আগে ভাইপো’~ অভিষেককে কেন্দ্র করে মমতাকে বিঁধলেন অমিত……

‘১০ কোটি মানুষের আগে ভাইপো’~ অভিষেককে কেন্দ্র করে মমতাকে বিঁধলেন অমিত……

‘১০ কোটি মানুষের আগে ভাইপো’~ অভিষেককে কেন্দ্র করে মমতাকে বিঁধলেন অমিত……

তৃণমূল সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়-কে তুলোধোনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  অমিত শাহ। রবিবার বোলপুরে তিনি বলেন, হিংসার জবাব গণতান্ত্রিক ভাবে দেব। সামনের ভোটে হারাব।তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসে চরম সীমায়। তদন্ত হচ্ছে না। করোনা অতিমারীর সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খাবার পাঠিয়েছেন। কিন্তু বস্তার পর বস্তার চুরি হয়ে গিয়েছে। মানুষ খেতে পাননি। দুর্নীতি হয়েছে। নিজের লোকেরা করেছে। ধরার হিম্মত নেই।অমিত শাহ বলেন, পরিবারতন্ত্র হলে এমনই ঘটনা ঘটে। শুভেন্দু বিজেপি যোগ দিয়েছেন। তাঁকে মন থেকে স্বাগত জানাই। যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে চান, তারা বিজেপিতে আসতে চাইলে স্বাগত। তিনি বলেন, ১০ কোটি মানুষের চিন্তা না করে ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাব- এই চিন্তা থাকলে এমনই হওয়ার কথা।অমিত শাহ বলেন, রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ। আজ মানুষের স্রোত ওঁদের চোখ খুলে দেবে।তোলাবাজি, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, বোমা ধামাকায় নম্বর এক। যে বাংলা ১ নম্বরে থাকত, আজ কোনওটাতে নেই। সব ২০-র নীচে।অমিত শাহ  বলেন, স্বাধীনতার সময় জিডিপি-র এক তৃতীয়াংশ। এখন সেই গ্রাফ নিচে নেমেছে। কমিউনিস্ট, তৃণমূল বিকল্প নয়। বাংলার মানুষ আমাদের সহযোগিতা করুক, এই আবেদন করব। ফের সোনার বাংলা গড়ার পথে যাব। শিল্পায়নে বাংলার যোগদান ছিল ৩০ শতাংশ। এখন ৩ শতাংশ। রোজগারি ২৭ থেকে ৪ শতাংশে নেমে গিয়েছে। ১৯৬০ মহারাষ্ট্রের থেকে দ্বিগুণ ছিল। এখন তার অর্ধেকও নয়।১৯৬০ সালের বাংলা অন্যতম ধনী রাজ্য ছিল। এখন কোথায় নেমে গিয়েছে। ১৯৫০ সালে ফার্মার ৭০ শতাংশ এ রাজ্যে হত। আজ হয়েছে ৭ শতাংশ। জুটমিল বন্ধ। আগে খুব ভাল ছিল। ২০১৮-১৯ সালে মাথাপিছু আয়ের নিরিখে ৩২টি রাজ্যের মধ্যে ২২তম। এর জন্য দায়ী কে? আপনারা একটা জায়গা বলুন। দলের যুবরা তার জবাব দিয়ে দেবেন। রাজ্যের আয় বৃদ্ধিতে রাস্তায় গর্ত, না গর্তে রাস্তা। ২০১১ সালে ১ শতাংশ ছিল, এখনও তাই রয়েছে। আর নীচে যাওয়ার জায়গাই নেই। শহরের উন্নয়নের জন্য যে টাকা দিয়েছি, তা খরচ করতে পারছে না।তিনি বলেন, বার বার এই কথা তুলছি যাতে ভোটের আগে মানুষ টাকা পান। কৃষকেরা পাচ্ছে না রাজ্যের দোষে। অনলাইন ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য খালি অনুমোদন দেবে। আর আপনি কৃষক আন্দোলন সমর্থন করছেন। ভাইপোর জন্মদিনের শুভেচ্ছাপত্র হিসেবে সই করে দিন। তা হলেই হবে। সব জায়গায় কী হয়েছে, সেটাই জানাতে এসেছি। ভোটের সময় এগুলি শেষ হবে। আপনারা বিদায় নেবেন। অমিতের অভিযোগ, প্রশাসনে রাজনীতি, রাজনীতিতে দুবৃর্ত্তায়ন আর দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক করে তুলেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে এই ব্যাপরে বলার ছিল। দলের সভাপতির ওপর হামলা, দলের কর্মীকে খুন করলেও এক ইঞ্চিও পেছনো হটব না।এ ব্যাপারে অমিত শাহ বলেন, এত সংরক্ষণশীল ভাবনা কেউ মানবেন না। ইন্দিরা গান্ধীকে মমতাদি বহিরাগত বলবেন?অমিত শাহ বলেন, মমতাদি সমবেদনার জন্য রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছেন। তিনি বলেন, এমন কিছুই করিনি যাতে ফেডেরাল কাঠামো নষ্ট হয়।