Home আপডেট “২২০ টার কম আসন পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব”~ কেতুগ্রামের জনসভা থেকে হুঙ্কার অনুব্রতের……

“২২০ টার কম আসন পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব”~ কেতুগ্রামের জনসভা থেকে হুঙ্কার অনুব্রতের……

“২২০ টার কম আসন পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব”~ কেতুগ্রামের জনসভা থেকে হুঙ্কার অনুব্রতের……

শুক্রবার, বড়দিনের শীতের দুপুরে কেতুগ্রামে জনসভা করেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। একুশের মহারণের আগে ফের রাজনৈতিক ময়দানে উত্তাপ বাড়ালেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গত লোকসভা নির্বাচনে বলেছিলেন, বিজেপি গোটা দেশে ১০০-র বেশি আসন পেলে তিনি রাজনীতি ছেড়়ে দেবেন। কিন্তু বাস্তবে ফলাফল বেরনোর পর তিনি সে কথা রাখেননি। শুক্রবার কেতুগ্রামে একটি জনসভা থেকে ফের বললেন, “তৃণমূল ২২০ আসনের কম পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।”সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন বলে বাংলায় এনআরসি করতে পারবেন না মোদী।” সাধারণ মানুষকে তিনি আশ্বাস দেন, কোনও পরিস্থিতিতেই বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না তিনি। বিজেপির সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “যদি বিজেপি সোনার বাংলা তৈরি করতে পারে তবে সোনার ভারত কেন হল না? কেন এভাবে হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের, দরিদ্র মানুষকে?” হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রয়োজনে রক্তবন্যা বইবে, কিন্তু বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না। বিজেপিকে মিথ্যাবাদী ও বেইমানের দল বলে আক্রমণ করেন তিনি।এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রসস্তি করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাংলার জন্য যা করছেন, পৃথিবীর আর কারও পক্ষে তা সম্ভব নয়। ৫ বছরে প্রত্যেকে ২৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পাবেন বিনামূল্য। দেশের আর কোনও রাজ্যে এমনটা হয়নি। রেশন ফ্রি, শিক্ষা ফ্রি, কার্যত সব কিছুই বিনামূল্যে হাতের নাগালে পৌঁছে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা কোথাও হয় না।” সভার শেষে সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে অনুব্রত বলেন, “এতই যদি খারাপ হত তৃণমূল, তাহলে তিনটে দফতরের মন্ত্রিত্ব, ১৮টা চেয়ারম্যানের পদ নিলেন কেন? বাবা এমপি, বাড়িতে একটা চেয়ারম্যান নেওয়ার কী দরকার ছিল? ও বাঁচার জন্য গিয়েছে।”