[ad_1]
মেদিনীপুর: ২০২০ সালে কব্জিতে চোট সঙ্গে করোনা এবং শারীরিক নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। স্বপ্নপূরণের আশা কার্যত নিভে আসছিল জীবন থেকে। তবে মনের জোর নিয়ে দুরন্ত কামব্যাক নারায়ণগড়ের আভা খাটুয়ার। শারীরিক নানা বাধা কাটিয়ে ২০২১ থেকে ফের প্র্যাকটিস শুরু। শটপাট ইভেন্টে ২০২২ সালে কাজাকস্তানে সোনা জয় করেছিল আভা। ২০২২ এর শেষ এবং ২০২৩ এর শুরুর সময় থেকে জোর প্রস্তুতি তাঁর। সঙ্গে নতুন পদ্ধতি । অবশেষে এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ এ শটপাট থ্রো প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে রুপো জয় আভা খাটুয়ার।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা খুড়শির মেয়ে আভা খাটুয়া। ছোট থেকেই ঝোঁক খেলাধুলার প্রতি। বাবা সামান্য চাষাবাদ করেই সংসার চালান। বাড়িতে মা, বাবা, দাদার সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। ছোট থেকে অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না থাকার কারণে বারবার পিছিয়ে পড়তে হয়েছে তাঁকে। বিদ্যালয়ে পড়াশুনোর সময়ে স্কুলের নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিত আভা। স্কুল জীবনে বিদ্যালয়ের শারীরশিক্ষা বিভাগের শিক্ষক সাধন প্রামাণিকের বাড়িতে থেকে ও তাঁর তত্ত্বাবধানে শিখেছেন খেলাধুলো। পরবর্তীতে কলেজে পড়াকালীন বন্ধ হয়ে যায় তার এই খেলাধুলোর চর্চা। অবশেষে আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। ২০১৭ সাল থেকে শুরু তার জেদের প্রতিষ্ঠা।
আরও পড়ুন – Earthquake In India: দেশের পশ্চিম থেকে পূর্ব উঠল কেঁপে, একের পর এক কম্পনের ধাক্কা ভোররাতে
সম্প্রতি ১২ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ব্যাঙ্কক আয়োজিত এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে শটপাট বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে নারায়ণগড়ের মেয়ে আভা খাটুয়া। তবে এবারে বদল করেছিলেন ছোড়ার পদ্ধতি। মাত্র তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন এই পদ্ধতিতে সাফল্য মেলে তার। শুধু তাই নয়, শটপাট মেয়েদের বিভাগে ১৮.০৬ মিটার ছুঁড়ে, ছুঁয়েছেন ভারতীয় মেয়েদের জাতীয় রেকর্ড।
আরও দেখুন- 21 July Shahid Diwas: রাস্তায় বেরোচ্ছেন? জেনে নিন কোন রুটে গেলে হবে সুবিধা, রইল ভিডিও
আভা জানিয়েছে, চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে তিনি তার ছোড়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছেন। সামান্য কয়েক পাক ঘুরে নির্দিষ্ট জায়গায় ছুঁড়ে এই সাফল্য। ভবিষ্যতের লক্ষ্য অলিম্পিক্স৷
সামান্য খেটে খাওয়া পরিবার থেকে উঠেছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে খেলাধুলায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে নারায়ণগড়ের মেয়ে। আবার এই সাফল্যে খুশি তার বন্ধু বান্ধব থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারাও। বেলদা কলেজের অধ্যাপক অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আভারই সাফল্যে আমরা গর্বিত আমরা চাই সে আরও বড় হয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করুক। সামনের বছরেই অলিম্পিক্স। অলিম্পিক্স অংশ নিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চায় আভা। সেই মত পাটিয়ালার কেন্দ্রীয় সরকারের সাই থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে সে।
Ranjan Chanda
পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিম মেদিনীপুর
Tags: Paschim medinipur, Silver