Home আপডেট Suvendu Adhikari: নীচের দিকে হচ্ছে ঠিক আছে, কিন্তু ওপরের দিকে ওঠা দরকার: শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: নীচের দিকে হচ্ছে ঠিক আছে, কিন্তু ওপরের দিকে ওঠা দরকার: শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: নীচের দিকে হচ্ছে ঠিক আছে, কিন্তু ওপরের দিকে ওঠা দরকার: শুভেন্দু

[ad_1]

রেশন দুর্নীতিতে বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূলি পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর গ্রেফতারিতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ইডিকে ওপরের দিকে হাত দেওয়ার পরামর্শ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার ঝালদায় দলীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তিনি। দাবি করেন, ১০ বছর ধরে রেশন দুর্নীতি হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকা কোনও বড় ব্যাপার নয়।

শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘ভুয়ো কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করে চালকল মালিকরা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও চোর মমতার মদতে ১০ বছর ধরে কোটি কোটি টাকা মেরেছে। তাই ১০ হাজার কোটি টাকাটা আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে এটা আমার মনে হয় একটা বড় স্ক্যাম’।

এর পরই শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমি তদন্তকারী সংস্থাকে অনুরোধ করব তারা নিচের দিকে নামছেন। শংকর আঢ্যদের গ্রেফতার করছেন। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু ওপরের দিকে ওঠা দরকার আছে। যে যে IAS অফিসাররা এর সঙ্গে যুক্ত হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পারভেজ সিদ্দিকি, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো এইদিকেও তদন্তের গতিটা নিয়ে যাওয়ার দরকার আছে। নীচের দিকে হচ্ছে ঠিক আছে, ওপরের দিকেও চোরেদের গায়ে হাত পড়া দরকার আছে’।

রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বনগাঁয় শংকর আঢ্যর একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় ইডি। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত ১২টা নাগাদ গ্রেফতার হন শংকর আঢ্য। গাড়ি করে শংকর আঢ্যকে নিয়ে বেরনোর সময় ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায় শংকরের অনুগামীরা। হামলায় ভাঙে ইডির গাড়ির কাচ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় শংকর আঢ্য বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তদন্তকারীদের বলেছি যেন সুবিচার হয়।’

এদিন আদালতে ইডি বলে, শংকর আঢ্যর ১৯টি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের নামে তিনি দুর্নীতির ২০০০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এর মধ্যে ২৭০০ কোটি টাকা গিয়েছে দুবাইয়ে। এই টাকার মধ্যে ৯ – ১০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতির। সীমান্তবর্তী এলাকায় শংকর আঢ্যর নেতৃত্বে বিদেশে টাকা পাচারের একটি চক্র চলে বলে জানিয়েছে ইডি। হাওয়ালার মাধ্যমেও টাকা যায় বিদেশে।

রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রথমে ১৫ কোটি টাকার দুর্নীতির হদিশ পেয়েছিল ইডি। জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর সেই অংক বেড়ে হয় ৪৫০ কোটি। এবার ইডির মুখে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির কথা শুনে বিচারক এজলাসে বলেন, কে বলবে পশ্চিমবঙ্গ একটা গরিব রাজ্য!

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here