[ad_1]
সামনে পেছনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়ান বিজেপির নেতারা। এমনই অভিযোগ করেন তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্ব। তবে এবার নাম না করে ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সুরক্ষা বহর নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। সেখানে একাধিক নথিও তিনি তুলে ধরেছেন।
শুভেন্দু লিখেছেন, কিং লিয়রের সুরক্ষার বহরটা একবার দেখুন। ডায়মন্ডহারবারের শেষ রাজা। ৩৩ পাতার একটা অর্ডার রয়েছে। যদি ধৈর্য্য থাকে তবে গোটাটা একবার স্ক্রল করে দেখুন।
শুভেন্দু লিখেছেন, ,ইউনিফর্ম পরা পুলিশ কর্মী, সাদা পোশাকে থাকা পুলিশকর্মী, পদস্থ পুলিশ কর্তা, ট্রাফিক পুলিশ সব মিলিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৪৭০০জন। গত ১০ নভেম্বর কালীঘাট থেকে ফলতা যাওয়ার পথে এই পরিমাণ সুরক্ষার বহর।
,না, জাহাঁপনা কোনও যুদ্ধে যাচ্ছেন না, বিরাট বাহিনী নিয়ে তিনি বিদেশি রাষ্ট্র জয় করতে যাচ্ছেন এমনটাও নয়, তিনি কিছু বস্ত্র বিতরণ করতে যাচ্ছেন। এর যা মূল্য তা বিপুল নিরাপত্তার তুলনায় একেবারেই যৎসামান্য। ….লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সেই সঙ্গেই নিরাপত্তার বহর সংক্রান্ত একাধিক নথি তিনি তুলে ধরেছেন।
এদিকে সেখানে যে নথি উল্লেখ করা হয়েছে তাতে একেবারে উপরে লেখা হয়েছে , ১০ নভেম্বর ২০২৩ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পুলিশ ব্যবস্থাপনা। সেখানে গোটা রাস্তা জুড়ে কড়া নজরদারির কথা বলা হয়েছে। সাধারণ গাড়ির চলাচলে অসুবিধা না করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। ভিআইপি যখন রাস্তা দিয়ে যাবেন তখন যাতে রাস্তার ধারে কোনও গাড়ি পার্কিং করা না থাকে সেটা দেখতে হবে। কনভয়ের পাশে যাতে কেউ ঘেঁষতে না পারে সেটাও দেখতে হবে। যদি অযাচিতভাবে কেউ কনভয়ের কাছে আসতে চায় তবে তাকে দ্রুত সরিয়ে দিতে হবে। অতি উৎসাহী সমর্থকরা কনভয় থামানোর চেষ্টা করলে তা কৌশলে আটকাতে হবে।
অন্যদিকে নির্দেশে বলা হয়েছে ভিড়ের দিকে নজর রাখতে হবে পুলিশকে। ভিআইপির গাড়ির দিকে ফিরে নয়। কেউ যাতে ভিড়ের মধ্যে কালো পতাকা দেখাতে না পারে সেটা দেখতে হবে।
তবে এবার প্রশ্ন উঠছে একজন সাংসদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথি প্রকাশ্যে জানিয়ে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে বিরোধী দলনেতার কাছে?
সেই সঙ্গেই শুভেন্দু অধিকারী একটি যানজটের ভিডিয়ো যুক্ত করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ রীতিমতো হম্বিতম্বি করছে। বলতে শোনা যাচ্ছে এটা শুধু পাবলিককে হয়রানি করা। তোলাবাজ না হলে আরও কত কী করত!