[ad_1]
MBBS ভর্তি দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরা সরাসরি সুবিধা পেয়েছেন বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই দুর্নীতিতে বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও তাতে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ মৌখিক স্থগিতাদেশ দিয়েছে বলে রাজ্যের দাবি।
বুধবার মুর্শিদাবাদের লালবাগে দলীয় সভায় যোগদানের পর সাংবাদিকদের মুখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের কথা শুনে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘নির্মল মাঝি আর শান্তনু সেন গেল। মমতার ভাইপো ভাইঝিরাও ঢুকবে ভিতরে। অপেক্ষা করুন। ভরসা রাখেন। নরেন্দ্র মোদী, না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা’।
সংক্ষিত আসনে অসংরক্ষিত পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ছাত্রী। রাজ্য এই মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দিতে আবেদন করে। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, যে পুলিশ ১৯ দিনে শাহজাহান শেখকে ধরতে পারে না তার ওপর কী করে ভরসা করব? এই রাজ্য দুর্নীতির হাবে পরিণত হয়েছে। এই মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। বেলা আড়াইটের মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করতে হবে। সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি জানি, এই নির্দেশও চ্যালেঞ্জ হবে। কিন্তু আমি জানতে চাই আজ পর্যন্ত তদন্ত ঠেকাতে মোট কত টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার?’
সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায় শুনে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে ছোটেন রাজ্যের আইনজীবীরা। সেখানে তাঁরা বলেন, এই মামলার রায়ের কপি এখনো হাতে পাইনি। তার আগেই তদন্ত সংক্রান্ত নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করতে বলেছে। রায়ের কপি পেলে তা আদালতে জমা দিতে হবে। রাজ্যের আইনজীবীদের মৌখিক উল্লেখেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে আপাতত এই মামলায় কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির পর এব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত।
ওদিকে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর এদিনের মতো নাটকীয়তা শেষ বলে যখন মনে করা হয়েছিল তখনই ফের তৎপর হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাস বন্ধ হওয়ার আগে ফের একবার এই মামলার শুনানি করেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান তাঁদের তরফে কোনও আধিকারিক তদন্তভার নিতে আদালতে হাজির হয়েছেন কি না। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, হ্যাঁ আধিকারিক এসেছেন। তখন রাজ্যের আইনজীবী বলেন, এই মামলায় মৌখিক স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পালটা বলেন, স্থগিতাদেশের নথি কোথায়? শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং দেখান। কিন্তু কোনও কিছুই দেখাতে পারেননি রাজ্যের আইনজীবী।
এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই মামলায় FIR রুজু করে তদন্ত শুরু করতে হবে সিবিআইকে। তবে শেষ পর্ষন্ত সিবিআই FIR রুজু করেছে কি না তা জানা যায়নি।