[ad_1]
সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের সংগঠিত প্রতিরোধকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায়ের বার্তা বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘সন্দেশখালিতে জনজাগরণ হয়েছে।’
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘সন্দেশখালি বলছে, তৃণমূল যাচ্ছে। সন্দেশখালি বলছে, মমতা যাচ্ছে। সন্দেশখালি পথ দেখাবে। সন্দেশখালিতে চোরেদের নকুলদানা বাতাসা গুড়, চড়াম চড়াম ঢাক বাজিয়ে আপ্যায়ন করছে। চোরেদেরকে নদীতে চুবাচ্ছে। আমি আশা করব সন্দেশখালির দেখানো পথে ধীরে ধীরে হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, বাসন্তী, দেগঙ্গা, ভাঙড়, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা আরও পশ্চিমবঙ্গের যে সব জায়গায় অত্যাচার চরম সীমায় পৌঁছেছে পঞ্চায়েতে ভোট করতে দেয়নি। এখনও মানুষকে কথা বলতে দেন না। সব প্রকাশ পাবে’।
বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও স্থানীয়দের প্রতিরোধে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। এদিন সকাল থেকে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, উত্তম সরদার ও শিবু হাজরার গ্রেফতারির দাবিতে লাঠি সোটা নিয়ে মিছিল করেন কয়েক শ মহিলা। সন্দেশখালি থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বসিরহাটের এসডিপিও। তাঁর অনুরোধেও অবস্থান থেকে ওঠেননি বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘বছরের পর বছর শাহজাহানের মদতে এলাকায় অত্যাচার চালিয়েছে উত্তম সরদার ও শিবু হাজরা। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তমকে ব্যাপক মারধর করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এর পর তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তমকে পুলিশ ছেড়ে দিতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে সে।’ এর পরই ফের বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, বার বার পুলিশকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। উলটে সমস্যার সমাধানে শেখ শাহজাহানের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিত পুলিশ।