[ad_1]
আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে রাজ্যবাসীকে বঞ্চিত করার পর এবার পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধ করার ফন্দি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন তিনি। এই দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠিও লিখেছেন শুভেন্দুবাবু।
সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। আতঙ্কিত কারণ পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২২টি বাড়ি থেকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি রাজ্যের মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জনপ্রিয়তা টের পেয়ে প্রকল্পটি রাজ্যে বন্ধ করতে তিনি প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন’।
তথ্য পেশ করে শুভেন্দুবাবু দাবি করেছেন, ‘উজ্জ্বলা যোজনার প্রথম পর্বে মোট উপভোক্তার ১১ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্বে মোট উপভোক্তার ১৭.২৬ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমি এব্যাপারে মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে একটা চিঠি লিখেছি’।
শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবিকে বিজেপি – তৃণমূলের ভুয়ো লড়াই বলে দাবি করেছে বাম ও কংগ্রেস। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যবাসীকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে সেকথা ঠিক। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী ভুল তথ্য দিচ্ছেন। সিলিন্ডারের অত্যাধিক দামের জন্য রাজ্যে কত মানুষ উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাসের কানেকশন ছেড়ে দিয়েছেন তার তথ্য নেই শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যে। আসলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি চায় দ্বিমেরু রাজনীতি জারি রাখতে। কারণ বিজেপি ভালো করেই জানে, কোনও অবস্থাতেই কেন্দ্রে বাম বা কংগ্রেসের সমর্থন পাবে না তারা। তাই তৃণমূলকে প্রাসঙ্গিক রাখতে মাঝে মাঝে এই সব অভিযোগ করেন শুভেন্দুবাবুরা। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত এই সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সময় পিছিয়ে আসেন।
বলে রাখি, ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের তুমুল মতবিরোধ তৈরি হয়। যার জেরে গত প্রায় ১ বছর ধরে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে মোদী সরকার। তাদের দাবি, কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা নিয়ে বিপুল দুর্নীতি করেছে রাজ্য সরকার। এমনকী এক খাতের টাকা আরেক খাতে খরচের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যারা এই সব দুর্নীতিতে যুক্ত তাদের শাস্তিবিধান না করলে কোনও মতেই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাঠানো হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য।