[ad_1]
সিঙ্গুরে কারখানা উচ্ছেদের মামলায় টাটাদের পক্ষে রায় দিয়েছে তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। এর ফলে টাটাকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারকে। সোমবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া তথ্যে একথা জানিয়েছে টাটা মোটরস। জানা যায়, ট্রাইব্যুনালের তিন আরবিট্রেটর মধ্যে তিনজনই টাটাদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই তিনজন সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন সরকার মনোনীত। বাকি দু’জন আরবিট্রেটরের মধ্যে একজন ছিলেন টাটা মোটরস মনোনীত সদস্য এবং একজনকে বেছে নিয়েছিল সরকার এবং টাটা উভয় পক্ষই। (আরও পড়ুন: ৭৬৮ কোটি নয়, টাটাকে ১৭৬৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে সরকারকে!)
এই আরবিট্রাল ট্রাব্যুনালের ‘প্রিসাইডিং আরবিট্রেটর’ ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শিবপুরকর। এছাড়া কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অলোক চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস ছিলেব ট্রাব্যুনালের বাকি দুই সদস্য। এদিকে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই গোটা পরিস্থিতির জন্য আগের বাম সরকারকে দায়ী করে দাবি করেছেন, সরকার আদালতে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাবে। তবে প্রশাসনিক পর্যবেক্ষদের মত, যেহেতু তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের কেউই সরকারের পক্ষে রায় দেয়নি, সেই ক্ষেত্রে আদালতেও সরকার স্বস্তি পাবে বলে মনে হয় না।
পর্যবেক্ষকদের মতে, টাটা মোটরস এবং রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চুক্তির ওপর ভিত্তি করেই ট্রাব্যুনাল এই জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছে সরকারকে। টাটাকে প্রায় ৭৬৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। সঙ্গে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে রাজ্যকে। এছাড়াও মামলার খরচ বাবদ টাটা মোটরসকে ১ কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
টাটা মোটরসের দাবি ছিল, উচ্ছেদের জন্য চুক্তি অনুসারে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য। এই আবহে সওয়াল জবাব শেষে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সর্বসম্মতিক্রমে টাটাদের পক্ষেই রায় দেয়। এদিকে নির্দেশে বলা হয়, ক্ষতিপূরণ দিতে দেরি হলে এর সঙ্গে অতিরিক্ত সুদ যোগ হতে থাকবে। তৃণমূলের আন্দোলনের জেরে ২০০৮ সালে সিঙ্গুর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় টাটারা। ততদিনে সিঙুরের কারখানায় তাদের প্রায় ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে সরকার টাটাদের জমি ফেরত দেয় চাষীদের। তবে সেই জমি আজও চাষযোগ্য হয়নি। অধিকাংশ জমি পড়ে রয়েছে অব্যবহৃত ভাবে।