Home আপডেট Teesta desaster: তিস্তার বিপর্যয়ে কালিম্পংয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ কোটি, রিপোর্ট পাঠান হল নবান্নে

Teesta desaster: তিস্তার বিপর্যয়ে কালিম্পংয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ কোটি, রিপোর্ট পাঠান হল নবান্নে

Teesta desaster: তিস্তার বিপর্যয়ে কালিম্পংয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ কোটি, রিপোর্ট পাঠান হল নবান্নে

[ad_1]

মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং তিস্তার হড়পা বানের জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সিকিম। তাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জলের প্রবাহে ভেসে গিয়েছিল কয়েকশো ঘরবাড়ি। এ রাজ্যের তিস্তা অববাহিকা এলাকা কালিম্পংয়েও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঘরছাড়া হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। কালিম্পং জেলাতে সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট নবান্নে পাঠানো হল। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী কালিম্পং জেলায় সব মিলিয়ে তিস্তার হড়পা বানের ফলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন: সিকিমকে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলেও কালিম্পংকে নয় কেন? প্রশ্ন তুললেন অনীত

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে ছিল জেলা প্রশাসন এবং ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)। কী কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে । এছাড়া বাড়িঘর থেকে শুরু করে গাড়ি, দোকান সহ আরও বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট আরও এক দফায় জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার জিটিএ’র সভা ছিল। সেই সভায় এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, এই রিপোর্ট সার্বিকভাবে তৈরি করার পর কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানানো হবে। গত ৪ অক্টোবর তিস্তার বিপর্যয় নেমে এসেছিল। তাতে এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। বহু মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। যদিও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি হয়নি। সেই রিপোর্ট চূড়ান্ত করার পর কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জিটিএ প্রধান।

প্রাথমিক রিপোর্টে যে ক্ষয়ক্ষতির উল্লেখ রয়েছে তার মধ্যে তাতে বলা হয়েছে কালিম্পং ১ এবং লাভা ব্লক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুটি ব্লকের ৩৩৯ টি বাড়ি একেবারে ভেঙে গিয়েছে। এছাড়া ৫১ টি বাড়ি আংশিকভাবে ভেঙে গিয়েছে। প্রথমে সরকারের ১০টি ত্রাণ শিবিরে ১,৮৩৪ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে ৪০১ জন এই ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। এর পাশাপাশি এলাকার বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জোর কদমে পুনর্গঠনের কাজ চলছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, তিস্তার বিপর্যয়ে কালিম্পংয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এর পাশাপাশি কালিম্পংকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা এর আগে দাবি করেছিলেন, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে কালিম্পংয়ের বন্যা কবলিত এলাকার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে তিনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।জিটিএ প্রধান কালিম্পং জেলাকে স্বাভাবিক করতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করার আর্জি জানিয়েছেন।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here