[ad_1]
দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় টেট পরীক্ষা। শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় একটি প্রশ্নপত্র। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। একে ঠিক প্রশ্ন ‘লিক’ হয়েছে বলে মানতে নারাজ পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর দাবি যে সময় প্রশ্নপত্রটি বাইরে চলে আসে সেই সময় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যেই ছিলেন।
সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, ‘একে কোনও ভাবে প্রশ্নপত্র লিক বলা চলে না। কারণ যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন পত্র ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই সময় পরীক্ষার্থীরা হলের ভিতরে। ৮০০ কাছাকাছি সেন্টার। আমরা চেষ্টা করেছি যথাসাধ্য মোবাইল বাইরে রেখে যাতে চাকরি প্রার্থীরা পরীক্ষা হলে ঢোকেন।আমার মনে হয় পর্ষদকে কলুষিত করতে ইচ্ছাকৃত এটা করা হয়েছে।’
(পড়ুন। প্রাথমিক টেটের প্রশ্নও ফাঁস হয়ে গেল? উদ্বেগে পরীক্ষার্থীরা, এত পরিশ্রম পুরো জলে?)
শুরু রাজনৈতিক তরজা
প্রশ্ন প্রকাশ্যে এসে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবেই প্রশ্নপত্র বাইরে আনা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘অনেক জায়গায় এমন কোনও ব্যক্তি রয়েছেন যারা কেউ সিপিএম বা বিজেপি সমর্থক, তারা এই কাজ করতেই পারেন। প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে তা পোস্ট করে দিলেন। অর্ন্তঘাতের জন্য এই কাজ করতেই পারেন। কিন্তু আসল বিষয় হল যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে সেই সময় পরীক্ষার্থীরা হলের ভিতরেই ছিলেন। ফলে যারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই সব চাঞ্চল্যকর, বিস্ফোরক বলে বিশেষণ আদায়ের চেষ্টা করছেন তাঁদের সঙ্গে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের কোনও সম্পর্ক নেই।’
এই ইস্যুতে শাসকদলকেই নিশানা করেছেন, সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, যারা পরীক্ষা নিচ্ছেন বা পরীক্ষা নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এরা পরোক্ষে বা প্রত্যক্ষে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। দুর্নীতিমুক্ত কোনও কিছুই করতে পারে না। এরা ছাত্রদের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত করে দেয়।’