Home আপডেট TMC নেতা শেখ খলিলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে পাঁচলায় তুমুল বিক্ষোভ মহিলাদের

TMC নেতা শেখ খলিলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে পাঁচলায় তুমুল বিক্ষোভ মহিলাদের

TMC নেতা শেখ খলিলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে পাঁচলায় তুমুল বিক্ষোভ মহিলাদের

[ad_1]

সন্দেশখালির আঁচ লাগল হাওড়ার পাঁচলায়। তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে দিঘি ভরাটের অভিযোগ তুলে লাঠি, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। সোমবার দুপুরে মহিলাদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাঁচলা ব্লকের দিঘির পাড় এলাকা।

স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ৩৬০ বিঘা জায়গায় ছড়িয়ে থাকা স্থানীয় একটি দিঘি বেআইনিভাবে ভরাট করছেন তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য শেখ খলিল। ওদিকে এই দিঘির জলই দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, দিঘি ভরাটের প্রতিবাদ করায় খলিলের গুন্ডাবাহিনী গ্রামের মহিলাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। এমনকী মহিলা ও বৃদ্ধাদের মারধর করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় শাড়ি – ব্লাউজ।

আরও পড়ুন: ৭ মার্চ কলকাতার ৩ মেট্রো লাইনের উদ্বোধন? আসছেন মোদী, যেতে পারবেন গঙ্গার তলা দিয়ে

এর প্রতিবাদে, সোমবার হাতে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয় মহিলারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পাঁচলা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই দিঘি ভরাট বন্ধ করতে হবে। এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিও জানান বাসিন্দারা।

ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকার পঞ্চায়েতের সদস্য ও তৃণমূল নেতা শেখ খলিলের নির্দেশেই এই দিঘিকে বুঝিয়ে ফেলা হচ্ছে। আশেপাশের তিন ফসলি জমির চাষবাস থেকে শুরু করে পুজার সমস্ত জলের সরবরাহ এই দিঘি থেকেই করা হয়। সেই দিঘি বুজিয়ে দিলে সমস্যায় পড়বেন বাসিন্দারা। দিঘি ভরাটের প্রতিবাদ করায় তাদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা। পাশপাশি এলাকার মহিলাদের উপর ও পুরুষদের মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা ওই পঞ্চায়েত সদস্য শেখ খলিলের বিরুদ্ধে।\

আরও পড়ুন: কাটমানি থেকে MNREGAর টাকা লুঠের অভিযোগ, সেই নেতার ওপরেই সন্দেশখালিতে ভরসা TMCর

স্থানীয় বাসিন্দা পল্লবী মালি অভিযোগ করেন, রবিবার খলিল এসে তাদের চাষের জমি নষ্ট করে দিয়ে গেছে। দিঘি থেকে জল নিতে পারছি না। সারা বছর আমাদের সব কাজ এই দিঘির জল দিয়েই করতে হয়। এই অবস্থায় বড় সমস্যাতে পড়েছি আমরা।’

এই এলাকার বাসিন্দাদের মূলত চাষ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই চাষের কাজ দীঘির জলের উপরেই নির্ভরশীল। কি ভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন তারই সমাধান চাইছেন বাসিন্দারা।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here