[ad_1]
দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে একাধিবার মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে দলের নেতাদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখার জন্য সতর্ক করেছেন। সম্প্রতি রেশন বন্টন দুর্নীতিতে রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার ফলে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় বিজয়া সম্মিলনীর সভাতেও শীর্ষ নেতৃত্বের সুরেই দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করলেন হাওড়ার জেলা সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে তিনি দলের নেতা কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যেন নিজেকে জমিদার না ভাবে।
আরও পড়ুন: জমি দখল করতে সেনাকর্মীর পরিবারকে বয়কট ভূপতিনগরে, অভিযুক্ত TMC ঘনিষ্ঠরা
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শনিবার ডুমুরজোলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন–পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক, মহিলা সংগঠনের নেত্রী এবং বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী, বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়, হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী, জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ, জেলা কমিটির চেয়ারম্যান লগনদেও সিংহ এবং দলের অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় জেলা সভাপতি বলেন, কোনও নেতা যদি নিজেকে জমিদার ভাবেন তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। কারণ ভোটের লড়াইয়ে জমিদাররা টিকে থাকে না, কর্মীরাই টিকে থাকে। এর পাশাপাশি দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়েও তিনি সতর্ক করেছেন। এক নেতা যেন অন্য কোনও নেতাকে আক্রমণ না করেন তা নিয়েও সতর্ক করেন তিনি। তাঁর মতে, যারা দলে কেউটের মতো অন্য কাউকে আক্রমণ করে দলকে ভাঙার করার চেষ্টা করবে তারাই পিছনে চলে যাবে।
আগামী বছর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তা নিয়েও দলের নেতা কর্মীদের জোর কদমে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন ওই তৃণমূল নেতা। তিনি জানান, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে, তেমনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূলকে লড়াই করতে হবে এবং বিজেপিকে পরাজয় করতে হবে। তাঁর আশঙ্কা বিজেপির নেতারা কোটি কোটি টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। তাদের সেই উদ্দেশ্য যাতে কোনওভাবেই সফল না হয় সে বিষয়ে তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের সতর্ক করেন। বিজেপির ভোট কেনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তৃণমূল নেতা।