Home আপডেট TMC party office: সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরি আরাবুলের, তোপ বিরোধীদের

TMC party office: সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরি আরাবুলের, তোপ বিরোধীদের

TMC party office: সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরি আরাবুলের, তোপ বিরোধীদের

[ad_1]

সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস করার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। এবার এই অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে আরাবুল এবং তাঁর অনুগামীরা বাসন্তী রাজ্য সড়ক লাগোয়া বামনঘাটা বাজারের কাছেই সেচ দফতরের জায়গা দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করছেন। পার্টি অফিস তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই সেখানে কংক্রিটের পিলার বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ, যে জায়গা দখল করা হয়েছে সেটি হল সেচ দফতরের। বিরোধীরা এভাবে সরকারি জায়গা দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করার ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ভাঙড়ে যেতে বাধা পুলিশের, রাস্তায় বসলেন সওকত-আরাবুল

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বামনঘাটা বাজারেই তৃণমূলের একটি বা দুটি নয় ৭টি পার্টি অফিস রয়েছে। তা সত্ত্বেও সেখানে কেন নতুন পার্টি অফিস করার প্রয়োজন রয়েছে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যেহেতু বেআইনিভাবে সরকারি জায়গায় পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছে তাই পার্টি অফিসের নির্মাণটিও বেআইনি বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি জমি দখল করে যে পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছে, সে কথা নিজেই স্বীকার করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তাঁর বক্তব্য, যেখানে পার্টি অফিস করা হচ্ছে সেখানে আগেই পার্টি অফিস ছিল। সেটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এরপরে নতুন করে সেখানে পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছে। 

আরাবুল ইসলামের বক্তব্য, সবাই যাতে একসঙ্গে বসতে পারে তার জন্য এই পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে কোনওদিন সেচ দফতরের দরকার হলে পার্টি অফিসটি ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আরাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ওই জায়গায় আরও অনেক দলের পার্টি অফিস রয়েছে। কিছু কিছু নিন্দুকরা যারা পেরে উঠছে না তারা এরকম ছোটখাটো ঘটনাকে বড় করার চেষ্টা করছে। সিপিএমের আমলে খাল, ক্যানেলের উপরে সরকারি জায়গাতে পার্টি অফিস, দোকানপাট করা হয়েছিল। তা থেকে এখনও তারা করে খাচ্ছে। তৃণমূলে এসব কালচার নেই। ’ তাছাড়া ওই এলাকায় যে আরও পার্টি অফিস রয়েছে সে কথা অস্বীকার করেছেন আরাবুল ইসলাম।

এর তীব্র সমালোচনা করেছেন বাবরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন , ‘আমি খবর নিয়ে জেনেছি সিন্ডিকেট রাজ চালানোর জন্য আরাবুল ইসলাম ও তাঁর গুন্ডাবাহিনীর বসার জন্য ওই পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছে। বামনঘাটার প্রধান ও উপপ্রধান এর সঙ্গে জড়িত আছে। কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব এই অনৈতিক কাজ বন্ধ করার জন্য। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হব আমরা। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারি জমি, ওয়াকাফের জমি এবং এমনকী কবরস্থানের জমিতে পার্টি অফিস করছে।’

 

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here