Home বিদেশ Wig: ভারত থেকেই চুল যাচ্ছে বাংলাদেশ, চীনাদের মাথায় কাদের চুল?

Wig: ভারত থেকেই চুল যাচ্ছে বাংলাদেশ, চীনাদের মাথায় কাদের চুল?

Wig: ভারত থেকেই চুল যাচ্ছে বাংলাদেশ, চীনাদের মাথায় কাদের চুল?

[ad_1]

Wig: ভারত থেকে পরচুল চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে! সেখানে রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। দুই দেশই কামাচ্ছে মোটা মুনাফা। কীভাবে তৈরি হচ্ছে পরচুল? কেমন ভাবেই বা এই হব ব্যবসায় আয় হয়? মাথার ঝড়ে যাওয়া চুল ফেলে দেওয়ার আগে দুবার ভাবুন।

গোটা বিশ্বে সর্বত্র চুলের যোগানের ক্ষেত্রে একদম শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের বহু জায়গায় তৈরি হয় পরচুল। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ নদীয়ার বহু গ্রামে নকল চুল বা পরচুল তৈরির বড় বড় ব্যবসা রয়েছে। আর কলকাতার নিউ মার্কেটে গেলেই তো পেয়ে যাবেন, এই পর চুলের বিশাল সম্ভার। যেখানে আপনার মন পছন্দের পরচুল কিনে নিতে পারবেন। মাথায় চুল কম থাকলে কিংবা না থাকলেই যে পরচুল পরতে হবে এমনটাও নয়। সময়ের হাওয়ায় অনেক কিছুই বদলেছে। বহু মানুষ আছেন যারা ফ্যাশনের জন্য পরচুল ব্যবহার করেন। বিভিন্ন আকারের, বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন কাটিং, স্টাইল এবং বিভিন্ন রঙের পরচুল পাওয়া যায়। আপনি আপনার মুখের সাথে মানানসই এবং পছন্দ মতো দামে পরচুল কিনতে পারেন।

পর চুল কিন্তু একদমই পুরোটা আর্টিফিশিয়াল জিনিস দিয়ে তৈরি হয় না। মূলত মেয়েদের মাথার ফেলে দেওয়ার চুল দিয়েই তৈরি হয়। যা পরে চেহারায় আসে নতুনত্বের ছোঁয়া। ২০২১ সালে গোটা বিশ্বে পরচুলের ব্যবসা হয়েছিল প্রায় ৫৮০ কোটি ডলারের। এক্ষেত্রে বহু কৃত্রিম জিনিস ব্যবহার করা হলেও এক তৃতীয়াংশ তৈরি হয় শুধুমাত্র আসল চুল দিয়ে। যার অধিকাংশটাই যায় ভারত থেকে। ভারতে দিনের পর দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পরচুলের ব্যবসা। ২০২১ সালে ৭৭ কোটি আমেরিকান ডলারের চুল ভারত থেকে গিয়েছিল বিদেশে। যা ছিল ২০২০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। ভারত থেকে এই চুল চলে যায় কানাডা ফ্রান্স ডেনমার্ক আমেরিকা সহ বহু ফ্যাশন শোতে। এছাড়াও তো ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত রয়েইছে। এই ধরুন মুম্বই, দিল্লি, কানপুর মত বড় বড় শহরে যায় পশ্চিম বাংলার পরচুল।

আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও, পরচুলের ব্যবসা উত্তোরোত্তর বাড়ছে। স্বাভাবিক ভাবেই, চাহিদা বাড়ায় ভারত থেকে দেশটা আমদানি করছে চুলের কাঁচামাল। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে হেয়ার ক্যাপের কারখানা। যেখানে চুল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপ তৈরি করা হয়। যা বাংলাদেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি হয় অন্যান্য দেশে। বাংলাদেশের কারখানা গুলোতে প্রথমে ফেলে দেয়া চুলের জট ছাড়িয়ে নেয়া হয়। তারপর শ্যাম্পু এবং বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহার করে ধুয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এরপর সেই চুল সুন্দর করে কাটিং করে তৈরি করা হয় হেয়ার ক্যাপ।

আরেকটা তথ্য জানলে আশ্চর্য হবেন,ভারতীয়দের চুল রয়েছে চীনাদের মাথায়। ভারত থেকে চুলের একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে চীনে। শোনা যায়, চীন গোটা বিশ্ব থেকে যত পরিমাণ চুল আমদানি করে থাকে তার ৬০ শতাংশ যায় শুধুমাত্র ভারত থেকে। যার মধ্যে সবথেকে দামি চুল রেমি চুল। তো আজকের এই চুলের গল্প আপনার কেমন লাগলো? আপনি কি পরচুল নিয়ে ইন্টারেস্টটেড? ব্যবহার করতে চান? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here