প্রেমিকা ও বাবা-মাকে হত্যাকারী উদয়নের আদি বাড়ি হাওড়ার সালকিয়ায়,,

প্রেমিকা ও বাবা-মাকে হত্যাকারী উদয়নের আদি বাড়ি হাওড়ার সালকিয়ায়,,

​হাওড়া: গোটা বিশ্বে সাইকোপ্যাথিক কিলারের বহু উদাহরণ আছে। কিন্তু, বাঙালি সাইকো কিলার! নজির খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এবার তাও পাওয়া গেল। সৌজন্যে উদয়ন দাস।

কারণ, মধ্যপ্রদেশ বা ছত্তীসগঢ়ের নয়। উদয়নের শিকড় একেবারে এ রাজ্যে। বাংলায়।

তিন তিনটি খুনে অভিযুক্ত উদয়ন আদ্যন্ত বাঙালি।

তার বাবার নাম বীরেন্দ্র দাস।আদি বাড়ি কলকাতা লাগোয়া হাওড়ার সালকিয়ায়।

খাঁটি বাঙাল! পূর্ববঙ্গ থেকে উদয়নের বাবা-কাকারা এসেছিলেন হাওড়ায়! তারপর শুরু কঠিন জীবন! কিন্তু, যত সমস্যাই থাকুক, সম্পর্কের বাঁধন ছিল আর দশটা বাঙালি পরিবারের মতোই! পিঠোপিঠি ভাইদের একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা! উদয়নের কাকা রবীন্দ্রকুমার দাস এখনও থাকেন এই সালকিয়াতেই!

উদয়নের বাবা বীরেন্দ্র দাস এই সালকিয়া থেকেই মধ্যপ্রদেশ যান! সেখানেই পাতেন সংসার! ৯২ সালে ছোট্ট উদয়নকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবা-মা এসেছিল ডায়মন্ডহারবারে সূর্যাস্ত দেখতে! রবীন্দ্রকুমার দাস এ কথা জানিয়েছেন।

সম্ভবত এই ডায়মন্ডহারবার সফরকেই পরবর্তীকালে নিজের ভুয়ো ওয়েবসাইটে মিথ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছিল উদয়ন! যেখানে সে দাবি করেছ, ডায়মন্ডহারবারে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতেই না কি, তাদের মাথায় জাহাজ তৈরির কথা মাথায় আসে! সেইমতো শুরু হয় জাহাজ তৈরি!

কিন্তু, বড় হয়ে এত ঝুরি ঝুরি মিথ্যা বললেও, ছাপোষা বাঙালি পরিবারে জন্মানো উদয়নের স্বভাব ছিল আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই। মার কোল ছাড়তেই চাইত না ছোট্ট উদয়ন! এখনও সেই ছবি চোখের সামনে ভাসছে কাকার।

উদয়নের মাও বাঙালি। ইন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায়। প্রবাসী বাঙালি!

সেই শেষ দেখা উদয়নকে। এবার টিভির পর্দায় দেখলেন রবীন্দ্রকুমার দাস! কিন্তু, সেই ৬ বছরের ছোট্ট ছেলেটার জন্যই আজ লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here