Home আপডেট কানু সান্যালের গ্রামে জলকষ্টে ভুগছেন গ্রামবাসীরা, শুনে আসন ছেড়ে নামলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

কানু সান্যালের গ্রামে জলকষ্টে ভুগছেন গ্রামবাসীরা, শুনে আসন ছেড়ে নামলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

কানু সান্যালের গ্রামে জলকষ্টে ভুগছেন গ্রামবাসীরা, শুনে আসন ছেড়ে নামলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

[ad_1]

বিচারপতি তাঁর আসন ছেড়ে নেমে এলেন নীচে। তারপর নীচে এসে বসলেন চেয়ারে। এই চেয়ারে অফিসাররা বসেন। বিচারপতির এমন বিরল আচরণ দেখে তখন পিন পড়ার নীরবতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ওই নীচে বসা চেয়ারে থেকেই মামলা শুনলেন। হ্যাঁ, তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এইরকম সরল আচরণ দেখে অভিভূত এজলাসে উপস্থিত আইনজীবী থেকে কানু সান্যালের গ্রামের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক বড় রায় দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তো তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে চেয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।

এদিকে ২০১৯ সাল থেকে জলকষ্টে ভুগছেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদুল্লা গ্রামের মানুষজন। অনেক চেষ্টা এখানকার মানুষজন করলেও কলে জল আসেনি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পড়ে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দরজায় কড়া নাড়েন জলকষ্টে থাকা বেশ কিছু পরিবার। এই পরিবার গুলির মধ্যে মধ্যে বেশিরভাগই আদিবাসী চা–শ্রমিক। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, যেদিন মামলার শুনানি থাকে সেদিন জলের সমস্যা মিটে যায়। অর্থাৎ কল থেকে জল পড়তে থাকে। আবার পরবর্তী তারিখ পড়লেই বন্ধ হয়ে যায় কল থেকে পড়া জল।

অন্যদিকে এই অবাক করা ঘটনার কথা শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের চেয়ার ছেড়ে নীচে এসে অফিসারদের চেয়ারে বসেন। সোমবার এই মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। আর এমন কথা শুনে সমস্যার গোড়া খুঁজতে মঙ্গলবার তাঁর এজলাসে ডেকে পাঠান অভিযোগকারীদের। তারপর ওই শুনানির সঙ্গে জল পড়ার সম্পর্ক শুনে নিজের আসন ছেড়ে সোজা নীচে নেমে আসেন বিচারপতি। আর গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অভিযোগটি শোনেন। আজ, বুধবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের এইও, পিএইচই দফতরের ইঞ্জিনিয়ার, প্রকল্পের ঠিকাদার এবং আরও কয়েকজনকে তাঁর এজলাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন:‌ আজ আবার বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক জেলায় তদন্ত

এই গ্রামটি নকশাল নেতা কানু সান্যালের গ্রাম বলেই পরিচিত। এবার শুরু হয় সমস্যার কথা তুলে ধরার পালা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রামবাসী দীপু হালদার বলেন, ‘‌আমাদের গ্রামে বহুদিন ধরে জলকষ্ট। কানু সান্যাল বেঁচে থাকার সময় আমরা ঝোড়ার জল খেতাম। পরে আমাদের গ্রামে কল লাগিয়ে দেওয়া হয়। জল সমস্যা মিটেও যায়। তারপর উদ্যোগ নেওয়া হয় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ। আমার বাড়িতেও লাইন করে দিয়ে জল পড়ছে দেখিয়ে দেওয়া হয়। আর আধার কার্ডের জেরক্স নিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তারপর থেকে আর জল পড়ছে না।’‌ মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল বলেন, ‘‌নকশালবাড়ির এই গ্রাম জলকষ্টে জর্জরিত। এই মামলার যখনই শুনানির দিন আসে তখনই কল দিয়ে জল পড়ে। শুনানি হয়ে গেলেই আর জল পড়ে না। তবে বিচারপতি নিজেই নীচে নেমে এসে মামলা শোনেন। এই দৃশ্য আমি দেখে অভিভূত।’‌ কিন্তু সরকারপক্ষের আইনজীবী হীরক বর্মণের সাফাই, ‘‌এই অভিযোগ ঠিক নয়। এই প্রকল্পের কাজ এখনও চলছে। হাতির হানা বা ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পাইপ ফেটে জলসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here