[ad_1]
৩০ সেকেন্ডেই খেলা ঘোরাবে হামাস? এই করিডরকে আঁকড়েই বাঁচবে গাজা। গাজার মাটির তলায় ইসরাইলের হিসেব চলবে কী? এক ঝটকায় এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল নেতানিয়াহুর দেশ? ভাইটাল ২৪০ মিনিট, হামাস ইসরাইল যুদ্ধের কোন ফর্মুলা লুকিয়ে এই একটা সংখ্যায়? প্যালেস্টাইনি জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে আসছে কোন মোক্ষম অস্ত্র? একটা বিরতি ইসরাইলি ফৌজের উপর ভারী পড়বে না তো? ৩৫ দিনে যা হয়নি, সেটা হয়ে গেল এক লহমায়। মধ্যপ্রাচ্যে কি এমন ঘটলো যে এইভাবে ভাবে বদলে গেল হিসেব-নিকেষ? কেন সুর নরম করল ইসরায়েল? উত্তর গাজায় রোজ ঘণ্টা চারেকের জন্য যুদ্ধ বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স। বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিএফ। কিন্তু কেন? গাজার মাটিতে কি ঘটবে ওই কয়েকটা মিনিটে?
জানা যাচ্ছে, ওই সময়ের মধ্যে গাজার সাধারণ মানুষ ‘মানবাধিকার করিডর’ দিয়ে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেমন যেতে পারবেন, তেমনই বন্দিদের মুক্তির জন্যও ওই সময়টুকু ব্যবহার করা যাবে। তবে, ওই ৪ ঘন্টার বিরতি সমগ্র যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রযোজ্য নয়। শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকায় প্রযোজ্য। একটি নির্দিষ্ট সীমান্তে লড়াই বন্ধ করা। এটা যুদ্ধ বিরতি নয়, এটা মানবিক বিরতি। মূলত ত্রাণ পৌঁছানো ও পর্বতীদের বেরিয়ে আসার পথ প্রশস্ত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে নেতানিয়াহুর দেশ। কিন্তু প্রশ্ন হল এই সুযোগে পাল্টা অ্যাটাকের প্ল্যান ছকছে না তো হামাস?
ইজরাইল কিন্তু হামাসকে ধ্বংস করার চেষ্টায় কোন ত্রুটি রাখছে না রাখবেও না। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এমনকি আমেরিকা থেকেও যেভাবে যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটার আবেদন জানানো হচ্ছিল কার্য তো তাতেই সায় দিল ইসরায়েল। কারণ, জাতিসংঘ ও বলেছিল এমন পরিস্থিতিতে, চিরশত্রু দেশগুলিকেও মানবিক বিরতি দেওয়া উচিত। যাতে খাদ্য, ওষুধ বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা যায়। অনেক সময় একটি দেশের বিশেষ উৎসবেও অন্য দেশ মানবিক বিরাম দিতে রাজি হয়। যেমন আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধেও উৎসবে বিরতি ছিল। অথবা কোনো দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সংঘর্ষ হলে তার মধ্যে সেখানে ঈদ পড়ে গেলে কিছু সময়ের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করা যায়। সব শুনে বুঝে নেতানিয়াহু হোক সেই পথেই হেঁটেছেন।
কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন বর্তমান যা পরিস্থিতি ষ তাতে, এটা নিশ্চিত যে ইসরায়েল তাদের দেশের মানুষকে হামাসের কবল থেকে মুক্ত না করা পর্যন্ত থামবে না। হামাস ইসরায়েলের ১৫০ জনেরও বেশি মানুষকে পণবন্দী করে রেখেছে। তাই যুদ্ধ বিরোধী না হোক কিন্তু এই কৌশলগত বিরতির যে পথে ইজরাইলি ফৌজ হাঁটছে তাতে হামাস যে তার শিকড়কে আরও বেশি শক্তিশালী করবে, সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষাই রাখে না। আর এটাই আইডিএফ এর জন্য বড় রিস্ক হয়ে দাঁড়াতে পারে সামনের দিনগুলোতে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়